প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের শরীরের প্রাথমিক ফরেনসিক রিপোর্ট সিবিআই-এর হাতে এসেছে। সূত্রের খবর অনুসারে, সুশান্তের শরীরে কোন বিষক্রিয়া মেলেনি। কোনোভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব নয় যে সুশান্ত মাদক নিতেন। যদিও সুশান্তের শরীরের ৮০ শতাংশ অংশ মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে ৫ জন ডাক্তার ময়না তদন্তের জন্য ব্যবহার করে ফেলেছিলেন।
অন্যদিকে রিয়া চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে দেড় কেজি চরস উদ্ধার করে এনসিবি। এমনকি সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর এনসিবি-র জেরায় জানান যে সুশান্ত মাদক নিতেন। এদিকে সুশান্তের বাড়ির কর্মী নীরজ জানান, গাঁজার নেশা করতেন সুশান্ত সিং রাজপুত এবং রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাই সুশান্তের নেশার জিনিসপত্র দেখেশুনে রাখতেন।
পাশাপাশি, মুম্বইয়ের বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্তা দাবী করেন যে ১৩ ই জুন রাত্রে রিয়ার সঙ্গে দেখা করেন সুশান্ত। এদিকে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে সিদ্ধার্থ পিঠানি দাবি করেন, ১৩ জুন রাতে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে দেখা করেননি রিয়া চক্রবর্তী। বিবেকানন্দ গুপ্তা এও দাবি করেন, ১৩ জুন মাঝ রাতে রিয়া চক্রবর্তীকে তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিতে যান সুশান্ত। সেখান হাজির এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থেকে তিনি তা জানতে পেরেছেন। রিয়াকে তাঁর বাড়িতে সুশান্ত পৌঁছে দিতে গেলে, তাঁরা ওই প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে পড়ে যান বলে জানান বিবেকানন্দ গুপ্তা।
এরপরেই, সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি বলেন, ওই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান পুরো মামলা পালটে যেতে পারে। ১৩ জুন রাতে এমন কী হল যে পরদিন অর্থাত ১৪ জুন সকালে তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল ঘর থেকে!