পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা কঙ্কাল কাণ্ডের কথা জানেন না এমন লোক হয়তো খুব কম আছেন। এইবার সেই কঙ্কাল কাণ্ডের মূল নেতা সুশান্ত ঘোষকে তার এলাকাতে ফুল মালা দিয়ে বরণ করা হলো। ১০ বছর পরে বৃহস্পতিবার এ আবারো বেনাচাপড়া গ্রামে প্রবেশ করলেন সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। তাকে কাছে পেয়ে গ্রামবাসীর উল্লাস দেখা গিয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, কঙ্কাল কাণ্ডে তাকে ফাঁসানো হয়েছিল। আজ তাকে বরণ করা হলো।
আইনি কারণে দীর্ঘ ১০ বছর হয়ে গেল তিনি জেলায় আসতে পারেননি। গত ৬ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা ফিরে আসেন সুশান্ত ঘোষ। সেখানে একটি জনসমাবেশ করে সুশান্ত ঘোষ বলেন, “১০ বছর ধরে মাটির তলায় কঙ্কালের হাড় ভেঙ্গে টুকরো হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আস্ত ছিল গেঞ্জি। এটা কিভাবে সম্ভব?” তিনি দাবি করেছিলেন, “পুরনো কঙ্কালে নতুন গেঞ্জি জাঙ্গিয়া পরিয়ে দেওয়া হয়।” এছাড়াও তিনি হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, তৃণমূল সরকার সমঝে থাকুক। এরপর থেকে আবারও জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গ্রামে দেখা যাচ্ছে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ কে।
২০১১ সালে সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের পতন হয়েছিল। তারপর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে। বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে তৎকালীন বাম আমলে পশ্চিমাঞ্চল মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের নাম জড়িয়ে যায়। তাকে জেলে পাঠানো হয়। এই বিতর্কিত ঘটনার পরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জামিন পেয়ে আবার বেনাচাপড়া তে হাজির হলেন তিনি। সুশান্ত বাবু সরাসরি বলেন, “এত বোকামো কেউ করে! ১০ বছর মানুষগুলোর হাড়গোড় ছেড়ে গেল, অথচ গেঞ্জি রয়ে গেল। সব প্রমান হবে বিচারে। সুশান্ত ঘোষ কে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা সিআইডি হেফাজতে জেরা হয়েছে। মানসিক নির্যাতন হয়েছে। যাতে আমি পাগল হয়ে যাই বা মারা যায়। যেদিন লাল ঝাণ্ডার পার্টি করতে শুরু করেছি, সেদিন থেকেই বুঝেছি মিথ্যে মামলা হবে, জেল খাটতে হবে। আপনারা লাল ঝান্ডা সঙ্গে থাকুন। আগামী দিন লাল ঝাণ্ডার দিন।”