করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচারে সাইকেল র্যালি করছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক দল সাঁতারু। মহিষাদল থেকে সাইকেলে মন্দারমণি যাচ্ছিল তারা। এদের অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরী। কাথি শহর থেকে যাওয়ার সময় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান গেরুয়া শিবিরের নেতা শূভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে কৌতূহ্লবশত দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তারা। বাড়ির সামনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকজন জিজ্ঞেসও করে, শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে আছেন কি না। আর তাতেই এসে গেল অযাচিত সুযোগ। বাড়ির নীচে ওই সাঁতারুরা অপেক্ষা করছে, তা জানতে পেরে বাড়ির দোতলায় ডেকে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারপর চলল বেশ কিছুক্ষণের আলাপচারিতা।
মহামারী থেকে মুক্তির বার্তা দিয়ে শুক্রবার মহিষাদল থেকে সাইকেলে মন্দারমণির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মোট ১৫ জন সাঁতারু। তাদের মাঝে চারজন কিশোরী। প্রশিক্ষক আলোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সকাল এই যাত্রা শুরু করে সেই সাঁতারুরা। কাথি শহরের উপরেই শিশির অধিকারী- শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’। সেই বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ই কিছুক্ষণের জন্য থামে ঐ সাঁতারুদের দল। এই মুহূর্তে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলা রাজনীতির অন্যতম চর্চিত নাম। তার জন্য তাকে ঘিরে কিশোর-কিশোরীদের মাঝেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
ওইদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতেই ছিলেন৷ ওই সাঁতারুদের কথা জানতে পেরে তিনি তাদের বাড়ির দোতলায় ডেকে নেন৷ এরপর ওই সাঁতারুদের চা, জলখাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি৷ তাঁদের আবদার মেনে ছবিও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সাঁতার, সমাজ সচেতনতার পাশাপাশি ওই কিশোর-কিশোরীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপি নেতা৷ শুভেন্দুর এই বন্ধুসুলভ আচরণ, আন্তরিক ব্যবহারে খুবই খুশি ওই সাঁতারুরাও৷তবে শুভেন্দু নিজে বিষয়টি নিয়ে একেবারেই প্রচার চাননি৷ এর আগেও শুভেন্দুর এমন জনদরদী কাজের কথা শোনা গিয়েছে। যদিও সেসবই প্রচারের আড়ালে সযত্নে রেখেছেন তিনি।