মুকুল রায়ের প্রস্তাবে বিরোধী দলনেতা পদ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী
মুকুল রায়ের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন ২২ বিধায়ক
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গবাসী মমতা ম্যাজিকে ভরসা রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে বিশাল মার্জিনে জিতিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল এবার ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১৩ টি আসন পেয়েছেন এবং বিজেপি মাত্র ৭৭ টি আসন পেয়েছে। গত বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করে তৃতীয়বারের জন্য আগামী ৫ বছর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিত হাসিল করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন মুকুল রায়। গতকাল অব্দি বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক চাপানউতোর চলছিল যে বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিজেপি কাকে বেছে নেবে?
তবে আজ অর্থাৎ সোমবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শিশিরপুত্র শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে মনোনীত হলেন। আজ হেস্টিংস এর নির্বাচনী কার্যালয়ে খোদ মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা হিসেবে। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় ২২ জন বিধায়ক। এছাড়া অন্য কোন নাম ওঠেনি বলে সর্বসম্মতিতে বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে শুভেন্দু অধিকারী স্বপ্ন দেখেছিলেন যে তিনি গেরুয়া ঝড় তুলবেন বাংলায়। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। তবে পাওয়ার মধ্যে এবার বিরোধীদলীয় নেতার পদ পেলেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরকে হারানোর জন্য এবার নেতৃত্ব দেবেন এই শুভেন্দু।
আসলে জল্পনা থাকলেও গতকাল থেকে এক প্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছিল যে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হবেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা করতে চেয়ে ছিলেন। এছাড়া এই পদের অন্যতম দাবিদার মুকুল রায় নিজেই এই পথ নিতে চাননি। তিনি এমনিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে আছেন।