মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিন মমতাকে একহাত শুভেন্দুর, জেনে নিন কী বললেন
মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ সকালে তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃতীয়বারের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের শাসনভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ ঠিক সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে আগামী ৫ বছরের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার শপথ নিয়েছেন। শপথগ্রহণের পর তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে করোনা মোকাবিলা করার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করার কাজ প্রথম করব। আর দ্বিতীয় কাজ হবে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা ভোট-পরবর্তী হিংসায় লাগাম টানা। কিন্তু শপথ গ্রহণের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রতিপক্ষ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী আজ সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের সময় বলেছেন, ‘ভোটে হেরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এর আগে বাংলায় কখনো এরকম হয়নি। মমতা তার ২১৩ জন বিধায়ক এর মধ্যে কাউকে খুঁজে পেল না যাকে মুখ্যমন্ত্রী করা যায়। এর জন্যই আমি তৃণমূলকে লিমিটেড কোম্পানি বলি।’ অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য বিজয়ী বিধায়করা দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়াই করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফল প্রকাশের দিন সকাল থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল দুজনের মধ্যে। বিকেল ৫ টা নাগাদ ঘোষণা করা হয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০১ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করেছেন। তবে দু’ঘণ্টার মধ্যে ঘটনা পট পরিবর্তন করে ঘোষণা করা হয় যে শুভেন্দু অধিকারী ১৬৬৭ ভোটে জিতে গেছেন। আগের খবর সার্ভার ভুলের জন্য প্রকাশ হয়েছিল।
তবে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন যে এই মাঝের সময়ের মধ্যে কোন কারচুপি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। কমিশনের কথা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার পুনরায় গণনা করতে সম্মতি দেয়নি। পরে অবশ্য জানা যায় রিটার্নিং অফিসারকে পুনরায় গণনা না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং পুনরায় গণনা করার সম্মতি দেয়নি। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো হাইকোর্টে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।