একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের গণনা হয়েছে গত রবিবার। সকাল থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১৩ আসন নিয়ে বাংলার মসনদে বসে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে বিজেপি মাত্র ৭৭ আসন পায়। কিন্তু নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল থেকে মমতা ব্যানার্জির সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিতর্ক সত্ত্বেও জয় ছিনিয়ে নেয় শুভেন্দু অধিকারী। গোটা বাংলার মধ্যে সবচেয়ে হেভিওয়েট লড়াই ছিল এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। আর তাতেই জয় হাসিল করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে জয়ের পর থেকেই বিজেপির অন্দরমহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে এবার শুভেন্দু অধিকারী হবেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এখন অব্দি দলের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনো অফিশিয়াল ঘোষণা করা হয়নি। তবে আজ অর্থাৎ শনিবার আচমকা রাজভবন উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। আসলে তিনি গতকাল বিধানসভায় এসে শপথ গ্রহণ করে বিধায়ক হয়েছেন।
হঠাৎ করে রাজভবনে শুভেন্দু কেন এসেছেন সেই নিয়ে ইতিমধ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বলে রাখা ভালো শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সাথে রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করেছিল। মুখ্য সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। কিন্তু এর মাঝে হঠাৎ করে শুভেন্দু অধিকারী কেন রাজভবনে এলেন তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।