শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান একপ্রকার প্রায় নিশ্চিত ছিল।এবার সেই কানাঘুষোয় সীলমোহর লাগিয়ে শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভাতে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ এরকমটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিজেপি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
শনিবার অর্থাৎ আজকে দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ মেদিনীপুরে কলেজ ময়দানে জনসভা করতে যাবেন অমিত শাহ। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহ এর হাত থেকে গেরুয়া পতাকা নিজের হাতে নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা এরকম দাবি করেছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। তবে এবারে কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্যে এই সমস্ত জল্পনার উপরে সীলমোহর পড়ল।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য, জেলার ছোট বড় নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদ গেরুয়া দলে নাম লেখাবেন। শুভেন্দুর সঙ্গে সব মিলিয়ে ৫০,০০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে খবর বিজেপি সূত্রে।
তবে শনিবার শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেও সরকারিভাবে বিধায়ক পদ থেকে তিনি এখনও ইস্তফা দিতে পারেননি। শুক্রবার শুভেন্দুর ইস্তফা পত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করেননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সশরীরে স্পিকারের কাছে উপস্থিত হয়ে তারপর তাকে ইস্তফা পেশ করতে হবে। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দু সেই দিন আসবেন বলে জানিয়েছেন।
আবার এই নিয়ে নতুন করে জল ঘোলা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তৃণমূলের একটি অংশ বলছে, শুভেন্দু যে নীতির কথা বলেছিলেন সেই নীতি ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে। কারণ সরকারি ভাবে তিনি এখনও তৃণমূল বিধায়ক। আবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা এই মন্তব্যের পাল্টা বলেছেন, শুভেন্দু বিধানসভায় নিজে গিয়ে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। স্পিকার ছিলেন না বলে বাধ্য হয়ে স্পিকারের সচিবালয়তে সেই সভা পত্র জমা করতে হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি স্পিকারকে ইমেইল করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তৃণমূল বিধায়ক থাকলেও খুব শীঘ্রই তিনি সেই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন, এটা একেবারেই নিশ্চিত। তাই এখানে নীতি ভঙ্গের কোন প্রশ্নই ওঠে না বলে সাফ দাবি করেছেন শুভেন্দু অনুগামীরা।