এবারে প্রকাশ্যে তন্ময় ঘোষ এর দলবদল নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বক্তব্য পুলিশের ভয় দেখিয়ে দলবদল করানো হয়েছে ওই বিজেপি বিধায়ক কে। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী হাত ধরে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রীট এর অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তারপর থেকেই কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ঠিক কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। তারপরের দিনই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় প্রার্থী হিসাবে। বিষ্ণুপুরের মত একটি আসন থেকে জয়লাভ করেন তন্ময় ঘোষ। কিন্তু তারপরেই আবার ছন্দপতন।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হবার পরেই তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করেছিলেন তন্ময় ঘোষ। আজকে সেই বৃত্তটিই সম্পূর্ণ হল। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি তন্ময় ঘোষ কে চিঠি দেবো তার রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য।আমি হলফ করে বলতে পারি, তিনি কোন উত্তর দিতে পারবেন না। তিনি অপেক্ষা করছিলেন। মুকুল রায় দেয় এবং পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে যে মামলা চলছে তার গতি প্রকৃতি দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ভেবেছিলেন।’শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, ‘তিনি তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এখানকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।জন্মাষ্টমীর দিন তড়িঘড়ি গিয়ে তিনি যোগ দিয়েছেন কারণ মুখ্যমন্ত্রী তাকে পুলিশের ভয় দেখিয়েছে, তোমাকেও এবার যেতে হবে। এই কারণেই তড়িঘড়ি যোগদান করেছেন তিনি।’
যদি তৃণমূল সূত্রে এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের কোন পাল্টা বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও বিজেপি দাবি করছে গত ২ মে ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না তন্ময় ঘোষ। তাকে আর কোনরকম দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন রাজ্যের শাসক দল বিগত ১০ বছরে ৫০ জন বিধায়ককে দলবদল করিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে মুকুল রায়ের নাম। যদিও ইতিমধ্যেই, সোমবার তনময়ের বিজেপি বিধায়ক পদ খারিজ করার বিষয় নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি।