হারা আসনে ময়নাতদন্তের দাবি শুভেন্দুর, জেলা স্তরে নেতাদের কড়া পরামর্শ
সর্বস্তরের নেতাদের উদ্দেশ্যে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু
নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রথম মেগা বৈঠক, আর তাতেই হেরে যাওয়া সিটে হারের ময়না তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথম থেকেই থেকে তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আর সেই গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করেছেন শুভেন্দু। যেই যেই আসনে বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে এবং খুব খারাপভাবে হেরেছে সেই সমস্ত আসনে হারের কারণ পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আর এই পর্যালোচনা হবে একেবারে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে। ছোট বড় মেজো সমস্ত স্তরের নেতাদের তিনি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন যেন ভালোভাবে এই হারের পর্যালোচনা করা হয় এবং আসনগুলি ধরে ধরে যেন এই পরাজয়ের কারণ বিবেচনা করা হয়। শুভেন্দু অধিকারী টার্গেট নিয়েছেন, ভোটে নিজের কেন্দ্রে জিততেই হবে। তিনি জানিয়ে, ছোট হোক কিংবা বড় সমস্ত নেতাদের নিজের কেন্দ্রে জয় একেবারে সুনিশ্চিত রাখতে হবে। এছাড়াও ছোট নেতাদের ক্ষেত্রে বুথে জয় সুনিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরে বেশ খানিকটা মুষড়ে পড়েছে বিজেপি। কিন্তু, আগামী নির্বাচনের জন্য তাড়াতাড়ি কাম ব্যাক করতে হবে বিজেপিকে। তবেই বিজেপি বড় মাত্রায় সফলতা পেতে পারবে বলে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী সময় বৃত্ত সম্পন্ন করার জন্য ক্ষমতা দখল করতে হবেই, এবং বিষয়টি বর্তমানে একেবারে ঠারে ঠারে বুঝতে পারছে বিজেপি। শুভেন্দুর এই সুচিন্তিত মতামত দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনৈতিকভাবে এই বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। একদিকে যেমন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, এছাড়াও ছিলেন দিলীপ ঘোষ, অমিতাভ চক্রবর্তী এবং অরবিন্দ মেননের মতো বেশ কিছু উচ্চপদস্থ নেতা। শুভেন্দু অধিকারী সেই সভায় বক্তব্য রাখেন, ” একাধিক বিধানসভায় জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেন বিজেপিকে ৭৭ আসনে আটকে থাকতে হলো তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এই কারণে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে ময়নাতদন্ত করতে হবে আমাদের। ” যদিও বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে কয়েকজন বলছেন, “এখানে কোন নতুন সম্ভাবনা খোঁজার কিছু নেই। শুভেন্দু এটা এক প্রকার পরামর্শ দিয়েছেন।”