একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভা, অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) সভা। এক কথায় শীতের মধ্যেও উত্তপ্ত বাংলা। নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই এইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ৭ জানুয়ারি সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয় নিয়ে নাম না করেই এইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কথায়, অনেকে তো কেবল কর্মসূচী ঘোষণা করে পগারপার হয়ে যান।”
সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রথমবারের জন্য মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত অরাজনৈতিক তথা ধর্মীয় মিছিলে যোগদান করেন তিনি। তাকে দেখা গিয়েছে হুডখোলা জিপে। মিছিল শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেক কর্মী। সেই ঘটনার দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে আবারও আন্দোলনে নামবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। “আমাদের দুর্বল ভাবা উচিৎ হবেনা”, বলে এইদিন জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
তবে এইদিন ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক কথা বলবেনা বলেছিলেন শুভেন্দু। তবে তা সত্ত্বেও বিরত থাকতে পারেননি তিনি। তিনি এইদিন দাবি করেছেন,”তোলাবাজ ভাইপো” এর নির্দেশে তার ছবিতে ছেটানো হচ্ছে কালি। আর সেই ছবি বলা হচ্ছে পাঠাতে। তারপর নাম না বলেই এইদিন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Avishek Banerjee) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। এইদিন তিনি বলেন,”ভোটের পর প্রমাণ করে দেব, আমার পাশে আছে এই নন্দীগ্রামের মানুষ।”
আগামী ৭তারিখ নন্দীগ্রামে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে এইদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”অনেকে তো কেবল কর্মসূচি ঘোষণা করে পগারপার হয়ে যান। বলেছেন যে পরে করবেন। পরে সভা করলে তখন আমি আবার করব।” ৭ তারিখের সভার পালটা জবাব দেওয়ার ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তা তিনি জানাবেন আগামী দিন তথা ৮ তারিখেই। কিন্তু সোমবার তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা পজিটিভ, সেই কারণে নন্দীগ্রামের সভাতে যাচ্ছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।