কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের বিধায়ক মুকুল রায় কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ত্যাগ করে। আর তারপরে এবারে খোঁচা খাওয়া বাঘের মত, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক মুহূর্ত দেরি করতে চান না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কারণে বিধানসভায় তড়িঘড়ি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে ফেললেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, বিধায়ক পদ না থাকলে তার বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি। সম্প্রতি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেও এখনো পর্যন্ত কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের বিধায়ক পদ ছাড়েননি তিনি। তাই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সমস্ত প্রক্রিয়া তারা শেষ করেছে। বিধানসভার রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকার কারণে আজকে দাবি পেশ করা যায়নি।
শুভেন্দু বলেছেন আগামীকাল সকাল ১১ টায় যদি বিধানসভার রিসিভ সেকশন খোলা থাকে তাহলে তাদের দাবি জমা দেওয়া হবে। কিন্তু কালকেও যদি ওই সেকশন বন্ধ থাকে তাহলে অধ্যক্ষের ইমেইলে সরাসরি তাদের দাবি পাঠিয়ে দেবে ভারতীয় জনতা পার্টি। যদিও তার পিতা শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গ আসলে তিনি ব্যাপারটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেলেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। কুনাল বলেছেন, ‘ এ ব্যাপারে শুভেন্দুর আগে উচিত তার বাবার শিশির অধিকারী কে দলত্যাগ বিরোধী আইন এর পাঠ দেওয়া।’
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, উত্তরবঙ্গের সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গের চা বাগানের এবং তাদের এলাকার দুঃখ কষ্টের কথা জানানোর জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য কমিটির তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তার পাশাপাশি বাম সরকার এবং তৃণমূল সরকার কে একত্রে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ৪৪ বছর উত্তরবঙ্গের কোনো উন্নয়ন হয়নি, এই কারণে উত্তরবঙ্গের সাংসদ আবেগপ্রবণ হয়ে এই দাবি জানিয়েছিলেন, এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির কোন মন্তব্য নেই।