আমেরিকায় খুলে গেল বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দির অক্ষরধামের দরজা – USA Largest Hindu Temple

অবশেষে ঘটলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে উদ্বোধন হয়ে গেল স্বামীনারায়ন অক্ষরধাম মন্দিরের। ভারতের বাইরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আধুনিক হিন্দু ধর্মস্থান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল এই মন্দির। এর চোখ ধাঁধানো…

Avatar

অবশেষে ঘটলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে উদ্বোধন হয়ে গেল স্বামীনারায়ন অক্ষরধাম মন্দিরের। ভারতের বাইরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আধুনিক হিন্দু ধর্মস্থান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল এই মন্দির। এর চোখ ধাঁধানো কারুকার্য ইতিমধ্যেই সকলের নজর কেড়েছে। রবিবার সকালে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করলেন মোহন্ত স্বামী মহারাজ। স্বামী নারায়ন অক্ষরধাম মন্দিরের নির্মাণকারী বিএপিসি নামের ধর্মীয় সংস্থার আধ্যাত্মিক প্রধান তিনি। উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তার সাথেই ছিল আতশবাজির রোশনাই।

নিউ জার্সির এই মন্দিরটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এর দূরত্ব ২৮৯ কিলোমিটার। ২০১১ তে এই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গত ১২ বছর ধরে তিল তিল করে আমেরিকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই মন্দির নির্মাণের কাজ করেছেন। ভারতের বাইরে সবথেকে বড় হিন্দু এবং বৌদ্ধ মন্দির হলো কম্বোডিয়ার অঙ্করভাট মন্দির। কয়েক বছর আগে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় এই মন্দিরটি স্থান পেয়েছিল। আয়তনের বিচারে নিউ জার্সির দেবালয়টিকে এর সমতুল্য বলে উল্লেখ করছেন অনেকে।

১৮৩ একর জমির উপরে আমেরিকার এই নতুন হিন্দু মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। এর স্থাপত্য এবং কারুকার্যে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে নির্মাণকারী সংস্থা। দেবালয়টির মধ্যে রাখা হয়েছে দশ হাজার দেব দেবীর মূর্তি। রাখা হয়েছে একাধিক প্রাচীন ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র। এর পাশাপাশি নৃত্যরত যক্ষীর প্রতিমা রাখা হয়েছে এই মন্দিরে। গত সপ্তাহে নিউ জার্সির এই মন্দির উদ্বোধন কে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছিলেন, ” আমেরিকার হিন্দু মন্দিরে ভারতীয় স্থাপত্যের উৎকর্ষতা এবং গৌরবময় প্রাচীন সংস্কৃতি ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী ভক্তদের কাছে অপরিসীম। ” এর পাশাপাশি স্বামীনারায়ণ মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও।

About Author