Swapan Dasgupta: স্বস্তি পেলেন স্বপন দাশগুপ্ত, রাজ্যসভা সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য চরম বিতর্কে জড়িয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। বিতর্ক থেকে পিছু হাঁটার জন্য তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে বিধানসভার প্রার্থী হয়ে তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আসলে বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় স্বপন দাশগুপ্তকে তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু সেই সময় তিনি রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। এই বিষয়ে গলায় সুর তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিতর্কের পর রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন স্বপন দাশগুপ্ত। তবে দুর্ভাগ্যবশত তিনি ভোটে জিততে পারেননি। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল সাংসদ পদ খুইয়ে নির্বাচনে লড়াই করে তার কি লাভ হল?
তবে স্বস্তির খবর এইযে ফের রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন স্বপন দাশগুপ্ত। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তার নাম মনোনীত করেছেন। হয়তো ভোটে হারার পর পুরনো পদ ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্বপন দাশগুপ্ত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বিজেপি বাংলায় ভোট যুদ্ধে জিতে যেত তাহলে হয়তো স্বপন দাশগুপ্তকে মুখ্যমন্ত্রী বা খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন মন্ত্রী করা হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচনের ফলাফলে ধস নামে বিজেপিতে। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অব্দি পাইনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সময় পদত্যাগ করে স্বপন দাশগুপ্ত টুইট করে লিখেছিলেন, “উন্নততর বাংলা গড়ার যুদ্ধে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করতে পদত্যাগ করলাম। আশাকরি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারব।” তবে স্বপন দাশগুপ্তের সাথে আরও ৪ সাংসদ পদত্যাগ করে ভোটে দাড়িয়ে ছিলেন। তারা হলেন, বাবুল সুপ্রিয়, নিশীথ প্রামানিক, জগন্নাথ সরকার এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র নিশির প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার ভোটে জিতেছেন।