টেক বার্তাব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Tata লঞ্চ করে দিল তাদের নতুন বৈদ্যুতিক SUV Harrier Electric, ৬০০ কিলোমিটার রেঞ্জের সাথে পাবেন বিলাসবহুল বৈশিষ্ট্য

এই নতুন গাড়িটি তার বৈশিষ্ট্য এবং লুকস দিয়ে সবার মন জয় করবে

Advertisement

কিছুদিন আগে টাটা কোম্পানিটি তাঁদের বাজেট মূল্যের SUV গাড়ি টাটা পাঞ্চ ইলেকট্রিক ভারতের বাজারে লঞ্চ করেছিল। ইতি মধ্যেই এই নতুন বৈদ্যুতিক গাড়িটি ভারতের বাজারে একেবারে হিট হয়ে গেছে। প্রচুর মানুষ এই গাড়ির বুকিং করে ফেলেছেন। আপনিও যদি এই গাড়িটি বুক করতে চান তাহলে জানিয়ে রাখি আপনাকে ২১ হাজার টাকা দিয়ে এই গাড়িটি বুক করতে হবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গাড়ির বুকিং চালু হবে বলে জানিয়েছে টাটা। তবে টাটা পাঞ্চের থেকে বেশি এখন লোকে হ্যারিয়ার গাড়িটিকে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। এখন সবাই এই HARRIER গাড়িটির ইলেকট্রিক মডেলের জন্য অপেক্ষা করছেন। এটি ও একটি এসইউভি গাড়ি এবং সব দিক বিচার করলে এটি একটি সাত আসনের গাড়ি হতে চলেছে। একটি বড় পরিবার স্বাচ্ছন্দে ভ্রমন করতে পারবেন এই গাড়িতে। এছাড়াও এই গাড়ির পরিসর অনেকটাই বেশি অন্যান্য গাড়ির তুলনায়। টাটা কোম্পানির এই গাড়িটিকে শুধুমাত্র ডিজেল ইঞ্জিনের সাথে লঞ্চ করা হয়েছিল এবং সেই কারণে সেই সময় এই গাড়ির খুব একটা বেশি বিক্রি হয়নি। পেট্রোল মডেলে কিনতে চেয়েছিলেন তারা harrier কিনতে পারেননি। কিন্তু এবারে আর সেরকমটা হবে না। এবারে কিন্তু এই গাড়ির একটি ইলেকট্রিক মডেল লঞ্চ হতে চলেছে। যদি ইলেকট্রিক মডেল লঞ্চ হয়ে যায় ভালোভাবে তাহলে খুব শীঘ্রই এই গাড়ির বিক্রির বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই গাড়িটি লঞ্চ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও টাটা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়নি।

অটো এক্সপোতে দেখা গেল HARRIER ইলেকট্রিক

২০২৩ সালে যখন অটো expo আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে টাটা কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো টাটা হারিয়ার ইলেকট্রিক গাড়িটিকে চালু করেছিল। এই গাড়িটি দেখতে সবদিক থেকেই অত্যন্ত সুন্দর। তবে এর প্রোডাকশন ভেরিয়েন্ট কিন্তু দেখতে একটু অন্যরকম হবে। এই গাড়িতে টাটা কোম্পানির নতুন acti.ev আর্কিটেকচার দেখা যেতে পারে। সবদিক থেকেই বেশ প্রিমিয়াম হতে চলেছে এই গাড়িটি। কর্মদক্ষতা এবং ক্ষমতা সবদিক থেকেই এই গাড়িটি অন্যগুলির থেকে বেশ উন্নত। অর্থাৎ বলতে গেলে এই গাড়িটি কিন্তু টাটা কোম্পানির হ্যারিয়ার গাড়ির সাধারণ মডেলের থেকে ভালো।

এই নতুন গাড়িতে আপনারা দুটি ব্যাটারি অপশন পেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য হিসেবে ADAS পেয়ে যাবেন। এই ফিচারটি যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে এর নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এই গাড়িতে দুটি ব্যাটারি অপশনে আপনি ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটারের রেঞ্জ পেয়ে যাবেন। অন্যান্য ফিচার এর কথা বললে এই গাড়িতে থাকবে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাসটার, অ্যাপেল কার প্লে, পুশ বাটন স্টার্ট, কি লেস এন্ট্রি ফিচার, প্যানারোমিক সানরুফ, ক্রুজ কন্ট্রোল, রিমোট স্টার্ট, ওয়ারলেস চার্জার, এলইডি হেড লাইটের মত অন্যান্য ফিচার। এই গাড়িটির দাম হতে পারে ২৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়ি হিসেবে এই দাম যথেষ্ট ভালো বলা চলে।

Related Articles

Back to top button