Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

১০.৯৯ লক্ষ টাকায় লঞ্চ হয়ে গেল নতুন Tata Punch EV, পাওয়া যাবে ৪২১ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ

Updated :  Wednesday, January 17, 2024 2:59 PM

অফিসিয়াল ছবি এবং সমস্ত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার কিছুদিনের মধ্যেই এবারে ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ করল Tata Punch EV। এটি হতে চলেছে ভারতীয় মোটর ভেহিকেলস কোম্পানি টাটা মোটরসের সব থেকে লেটেস্ট ইলেকট্রিক গাড়ি। একটি গাড়িটির দাম হতে চলেছে ১০.৯৯ লক্ষ টাকা থেকে ১৪.৪৯ লক্ষ টাকার মধ্যে। বাজার মূল্যের দিক থেকে দেখতে গেলে, অন্যান্য ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় অনেকটাই বেশি ভ্যালু ফর মানি হতে চলেছে টাটা মোটরসের এই পাঞ্চ ইভি। ইতিমধ্যেই এই গাড়ির বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ২১ হাজার টাকা দিয়ে গ্রাহকরা এই গাড়িটি বুক করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই নতুন টাটা পাঞ্চ ইলেকট্রিক গাড়ির সমস্ত ভেরিয়েন্ট ডিটেলস।

এই গাড়িটি আপনারা পেয়ে যাবেন শর্ট রেঞ্জ এবং লং রেঞ্জের দুটি অপশনে। শর্ট রেঞ্জ এর মধ্যে স্মার্ট ভেরিয়েন্ট আপনি পাবেন ১০.৯৯ লক্ষ টাকা দামে। স্মার্ট প্লাস ভেরিয়েন্টের এক্স শোরুম মূল্য হবে ১১.৪৯ লাখ টাকা, অ্যাডভেঞ্চার ভেরিয়ান্ট এর দাম হবে ১১.৯৯ লাখ টাকা, এমপাওয়ার ভেরিয়েন্ট এর দাম হবে ১২.৭৯ লাখ টাকা এবং এমপাওয়ার প্লাস ভেরিয়েন্ট এর দাম হবে ১৩.২৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে লং রেঞ্জের মধ্যে দেখতে গেলে, অ্যাডভেঞ্চার ভেরিয়েন্টের দাম হবে ১২.৯৯ লাখ টাকা এবং এমপাওয়ার প্লাস ভেরিয়েন্ট এর দাম হবে ১৪.৪৯ লাখ টাকা।

এই গাড়িটি তৈরি হবে টাটা কোম্পানির নতুন acti.ev বর্ন ইলেকট্রিক প্লাটফরম এর উপরে। এই গাড়িতে সামনের দিকে থাকবে একটি ক্লোজ গ্রিল, ভার্টিক্যাল এলইডি প্রজেক্টর হেডল্যাম্প থাকবে এই গাড়িতে। পাশাপাশি এই গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাবেন ডে টাইম রানিং এলইডি। এটি অনেকটাই নেক্সন ইভির মতো ফিল নিয়ে আসবে। এই নতুন গাড়িটির লুক অনেকটাই নেক্সনের মত হবে। তবে পাঞ্চ গাড়িতে, সামনের দিকে পাওয়া যাবে চার্জিং আউটলেট। এদিক থেকে এই গাড়িটি কিছুটা হলেও আলাদা। সাইড প্রোফাইলের দিকে দেখতে গেলে এই নতুন ইলেকট্রিক গাড়িতে পাওয়া যাবে নতুন অ্যালয় হুইল। তবে রিয়ার প্রোফাইল পেট্রোল ভার্শন এর মতই একই থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।

কেবিনের ব্যাপারে বলতে গেলে এই গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাবেন ১০.২৫ ইঞ্চি ফুল টিএফটি ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল। এছাড়াও থাকবে অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট, ওয়ারলেস চার্জার, ৩৬০ ডিগ্রী পার্কিং ক্যামেরা, সানরুফ এবং আরো অনেক কিছুই। গাড়িটি অ্যাপেল কারপ্লে এবং এন্ড্রয়েড অটো সাপোর্ট করবে। কানেক্টিভিটির দিক থেকে সমস্যা হবে না যদি আপনি এই গাড়িটি কেনেন। গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাবেন দুটি ব্যাটারী প্যাকের অপশন। সাধারণ রেঞ্জের গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাবেন একটি ২৫ কিলোওয়াট ঘন্টা ব্যাটারী প্যাক, যা MIDC ক্লেম অনুযায়ী ৩১৫ কিলোমিটারের রেঞ্জ আপনাকে দিতে পারে। অন্যদিকে, লং রেঞ্জ ভেরিয়েন্ট আপনার জন্য দিচ্ছে ৩৫ কিলোওয়াট ঘন্টার একটি ব্যাটারি প্যাক, যেটি এমআইডিসি সার্টিফাইড ৪২১ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে।

এই গাড়িতে একটি বিশেষ মোটর ব্যবহার করা হয়েছে যেটি ১২২ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে পারে ১৯০ নিউটন মিটার টর্ক তৈরি করতে পারে। এই ইঞ্জিন শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা স্পিড তুলতে মাত্র ৯.৫ সেকেন্ড সময় নেয়। ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী নতুন টাটা পাঞ্চ। এই মোটর এবং ব্যাটারি প্যাক দুটি আলাদা আলাদা চার্জিং অপশন এর সাথে উপলব্ধ। প্রথমটি হল ৩.৩ কিলোওয়াট এর ওয়াল বক্স চার্জার। ৭.২ কিলোওয়াট এর ফার্স্ট চার্জার। যদি আপনি ফাস্ট যার আলাদা করে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনি ৫০ কিলোওয়াট পর্যন্ত ডিসি ফাস্ট চার্জার কিনতে পারেন। এই ৫০ কিলোওয়াট এর ডিসি ফাস্ট চার্জার এর মাধ্যমে মাত্র ৫৬ মিনিটে ১০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হয়ে যাবে এই গাড়ির ব্যাটারি। টাটা টিয়াগো ইভি এবং টাটা nexon ইভির ঠিক মধ্যবর্তী জায়গাতে এই মুহূর্তে রয়েছে টাটা পাঞ্চ। সরাসরি ভাবে বিদেশি ইলেকট্রিক গাড়ির সঙ্গে তুলনায় না এলেও, এই গাড়িটি ফরাসি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি Citroen এর eC3 গাড়ির সঙ্গে টক্কর দিতে পারে।