বাবা মায়ের হত্যার বদলা নিল আফগান কিশোরী, গুলিতে খতম দুই উগ্রপন্থী
বাবা ও মা'কে যখন হত্যা করা হচ্ছে তখন ঘরে থাকা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে তুলে নেয় কিশোরী। এবং সেই বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝড়া করে দেয় দুই উগ্রপন্থীকে।
বাবা মায়ের খুনের বদলা নিল মাত্র ১৪ অথবা ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। গ্রামের প্রধান ছিলেন কিশোরীর বাবা। আফগানিস্তানে এখনো তালিবানদের উপদ্রব বর্তমান। মাঝেমধ্যেই সাধারণ মানুষের ঘরে হামলা চালায় তালিবান গোষ্ঠী। আর সাধারণ মানুষের কেউ যদি হয় সরকারপন্থি তবে তা আরও ভয়ানক। সেরকমই আফগান কিশোরী কামার গুল (Qamar Gul) এর বাবা ছিলেন গ্রামের প্রধান ও সরকারপন্থি।
তালিবান গোষ্ঠীর তরফে বারবার হুমকি দেওয়া হয় ওই কিশোরীর বাবাকে। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। আর এরপরই গত সপ্তাহে একেবারে তাঁদের বাড়িতে চলে আসে তালিবান গোষ্ঠী। কামারের বাবাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তখন বাধা দেন কামারের মা। আর এতেই বিপদ ঘনিয়ে আসে। বাবা ও মা দু’জনকেই মেরে ফেলে জঙ্গিরা। তখন ঘরের মধ্যে ছিল কিশোরী কামার গুল ও তাঁর ভাই। যদিও ওই ঘটনায় পাড়া প্রতিবেশী কেউ শব্দ করেননি প্রাণের ভয়ে।
বাবা ও মা’কে যখন হত্যা করা হচ্ছে তখন ঘরে থাকা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে তুলে নেয় কিশোরী। এবং সেই বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝড়া করে দেয় দুই উগ্রপন্থীকে। বাকিরাও জখম হয়। আর এই ঘটনা জানার পর কিশোরী কামার গুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। মাত্র ১৪ অথবা ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। আসলে ওই কিশোরীর বয়স কত তার তথ্য এক এক সূত্র দিচ্ছে এক এক রকম। তবে ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যেই হবে। নেটিজেনরা বলছেন, আফগান কিশোরী কামার গুলের এমন সাহস আরও একবার পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের কথা মনে করায়।