হায়দ্রাবাদে এনকাউন্টারে মৃত চারজনের পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের
হায়দ্রাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুন করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নতুন মোড়। এদিন তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট ওই ঘটনায় যুক্ত চারজনের মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলো। চলতি মাসের ৬ তারিখে ধৃত চারজনকে ঘটনাস্থলের কাছে এনকাউন্টারে খতম করেছিল পুলিশ। তারপর একবার ময়নাতদন্ত হলেও তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ গুলি সংরক্ষণ করতে বলেছিল। এদিন বিচারপতিরা নির্দেশ দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যেই ময়নাতদন্তের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।
এর আগে সুপ্রীম কোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল এই মামলা তেলেঙ্গানা হাইকোর্টেই চলবে। মানবাধিকার কমিশন পুলিশের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেটাও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টেই চলবে। আজ শুনানি ছিল সেই মামলার, সেখানেই বিচারপতিরা এই রায় দেন। গত ২৭ নভেম্বর হায়দ্রাবাদ থেকে কিছু দূরে এক তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর গায়ে পেট্রোল ঢেলে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে একটি কালভার্টের নীচে জ্বালিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি
ঘটনার পর দেশ জুড়ে অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবি ওঠে। তদন্তে নেমে চার লরি কর্মী মহম্মদ আরিফ, জল্লু নবীন, জল্লু শিবা, চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেশাভুলুকে গ্রেপ্তার করে হায়দ্রাবাদ পুলিশ। গত ৬ই ডিসেম্বর ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় হায়দ্রাবাদ পুলিশ, সেখানেই পুলিশী হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। তখনই পুলিশের এনকাউন্টারে চারজনেরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রশংসা করলেও মানবাধিকার সংগঠন গুলি বিরোধিতা করে পুলিশের এই কাজের। ১০ তারিখ চারজনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়, এদিন আবার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলো আদালত।