রাজীব ঘোষ: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই পাকিস্তান বারবার বিভিন্ন ধরনের হুশিয়ারী দিয়ে আসছে।ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বের সমস্ত দেশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয় নি পাকিস্তানের।একমাত্র চীন ছাড়া পাকিস্তানের পাশে কেউ দাঁড়ায় নি।যদিও ভারত পাকিস্তানের কোনো হুশিয়ারীকেই তোয়াক্কা করে না।বরং ভারতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এরপর আলোচনা হলে সেটা একমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে হবে।কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে উপত্যকা।কাশ্মীরের বাসিন্দারা রাস্তায় নিজের কাজের জন্য বের হচ্ছেন।দোকানপাট খোলা শুরু হয়েছে।নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে কাশ্মীরের মানুষের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
তাই এবার কাশ্মীরবাসীদের হুমকি দিচ্ছে জঙ্গিরা।জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন হুমকি দিয়ে বলেছে, কাশ্মীরে দোকানপাট খোলা যাবে না।ট্যাক্সি চালকদের গাড়ি বের করতে নিষেধ করেছে জঙ্গিরা।বর্তমানে কাশ্মীরে জঙ্গিরা কোনঠাসা হওয়ার কারণে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের হুমকি, কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীনতা শেষ হয়ে গিয়েছে।তাই কাশ্মীরে যারা দোকানপাট খোলা রাখছেন তারা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করছেন।এর বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়োজন।জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে, এরকম করলে এবার আর পায়ে গুলি নয়, সরাসরি মাথায় গুলি করা হবে।শুধু হিজবুল মুজাহিদিন নয়, আরেক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা কাশ্মীরের মানুষদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়েছে।জঙ্গিরা কাশ্মীরের আপেলবাগান মালিকদের হুমকি দিয়ে বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে আপেল পাঠানো যাবে না।
কাশ্মীরের সমস্ত জায়গাতেই এই হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা।প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রীনগর সহ কাশ্মীরের সমস্ত স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বেশ কিছু স্কুল খুললেও সেখানে ছাত্র, শিক্ষকদের আসতে দেখা যায় নি।এদিকে জঙ্গিরা স্কুলগুলিকেও হুমকি দিচ্ছে।রাস্তায় মেয়েদের বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।সমস্ত স্কুল বন্ধ করার জন্য হুমকি দিচ্ছে সব জঙ্গি সংগঠন।লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা জানিয়েছে, লস্করের সতর্কবার্তা না মানলে চরম মূল্য দিতে হবে।লস্কর জঙ্গিরা বলেছে, নীরব আছি বলে আমরা দুর্বল হয়েছি ভাববেন না।কখন আঘাত করতে হবে আমরা জানি।