শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একদিকে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অন্যদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জেলে যাওয়া, সবমিলিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্যতে। আর এই আবহেই গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের মধ্যেই আজ বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে। ফল বেরোবে এবং চাকরিও হবে।” এই ঘোষণার সময় গৌতম পালের সাথে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্তর্বর্তী সভাপতি রত্না চক্রবর্তী বাগচী।
আজ প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর গৌতমবাবু বলেন, “আজ থেকে সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে। আগামী বছর থেকে প্রতিবছর নিয়মমতো এবং সময়মতো টেট পরীক্ষা হবে। আর নির্ধারিত সময়ে রেজাল্ট বার করে চাকরিও হবে।” পুরনো দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁর ইঙ্গিত উবাচ, “চেষ্টা করব যেন কোনো অভিযোগ না থাকে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার জন্য গ্রিভেন্স সেল খোলা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় ১১ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন। তবে চলতি বছরে গত ২০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে ওই পদ থেকে বরখাস্ত করেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রত্না চক্রবর্তী বাগচী। এরপর গতকাল সভাপতি পদে আসেন গৌতম পাল। তবে দুর্নীতি প্রসঙ্গে গৌতম পাল সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন যে আদালতে কোনো বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তিনি মন্তব্য করবেন না।