কয়েক মাস আগে এনআরএস হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর নিগ্রহের জেরে ভেঙে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সেই ক্ষত এখনও দগদগে। এর মধ্যেই ফের রোগীর পরিজনদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জও করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জীব ও বুলু ভৌমিক নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, নিউ আলিপুরের তিন যুবক কদিন ধরে জ্বরের চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন এমআর বাঙুর হাসপাতালে। চিকিৎসার পর এদিন তাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। সেই কারণে এদিন ওই তিন যুবকের পরিবারের লোকেরা দুপুর দেড়টা নাগাদ হাসপাতালে আসেন।
তখন নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। পরিস্থিতি তখনকার মতো শান্ত হলেও ঘণ্টাখানেক পর ৩০ জন যুবক হাসপাতালে চড়াও হয়। হাসপাতালে ঢুকেই তারা প্রথমে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে, তাদের উর্দি ছিঁড়ে দেয়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদেরও ছাড়েনি অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় যাদবপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পর ২ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর থানায়। বাকিদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই থমথমে এমআর বাঙুর হাসপাতাল চত্বর।