ক্রমবর্ধমান বিশ্ব উষ্ণায়নের চোখ-রাঙানিতে এবারে ভাঙন ধরতে শুরু করলো পৃথিবীর সবথেকে বড় হিমবাহে। অ্যান্টার্কটিকার সবথেকে বড় হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল। হিমবাহটির যে অংশটি ভেঙে গিয়েছে সেই অংশটি অনেকটা একটা ছোটখাটো দ্বীপের আকৃতির। এই হিমবাহ ভেঙ্গে গিয়ে বর্তমানে অ্যান্টার্কটিকাতে সমুদ্রে ভেসে চলেছে। হিমবাহের এই খণ্ডটি দৈর্ঘ্যে ১৭০ কিলোমিটার লম্বা এবং প্রস্থ ২৫ কিলোমিটার।
নিউ ইয়র্কে যেসমস্ত দ্বীপ রয়েছে, তাদের মধ্যে সবথেকে বড় দ্বীপের থেকেও এই খণ্ডটি আকারে বড়। এরকমভাবে যদি কিভাবে ভাঙতে শুরু করে তাহলে কিন্তু সমস্যা রয়েছে আমাদের ইকোসিস্টেমের জন্য। বিজ্ঞানীরা বলছেন অ্যান্টার্কটিকায় বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব সবথেকে খারাপ। তাই অ্যান্টার্কটিকায় হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা একের পর এক সামনে আসছে। নাসার স্যাটেলাইটে এই ভেঙে যাওয়া এ ব্যাপারে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসা ক্যামেরাতে এই ছবিটি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে নাসার অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়। বেশ কয়েকটি দেশের জন্য এই হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা বেশ বিপদজনক হয়ে উঠেছে। ফ্লোরিডা, ভারত এবং বাংলাদেশের মতো বেশ কিছু দেশের জলতল বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সাংহাই এবং লন্ডন শহরের জলতল বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার সাথে সাথেই উষ্ণায়নের জন্য যদি এই প্রবণতা বজায় থাকে তাহলে কিন্তু ২৩০০ এর মধ্যে ১.২ মিটার পর্যন্ত সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পাবে। তারপরে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সম্পূর্ণরূপে জলের নিচে চলে যাবে। কলকাতার অবস্থা ঠিক এরকমই হবে।
যদি এমনটা হয় তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠে থাকা বহু ভূখণ্ড চলে যাবে জলের তলায়। বিশ্বের আবহাওয়ায় দ্রুত বদল আসবে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিষ্ক্রমণ বৃদ্ধি পাবে এর ফলে পরিবেশ অত্যন্ত দূষিত হয়ে পড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ধরনের হিমবাহ ধ্বংস রোধ করা উচিত। আর তার জন্য আমাদের প্রধান কর্তব্য বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানো।













A$AP Rocky Appears to Confirm Marriage to Rihanna, Calls Himself a ‘Loving Husband’