শ্রেয়া চ্যাটার্জি : শিশু দিবসে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে বাচ্চার ছবিতে। হাসি হাসি মুখ তাদের। কিন্তু আমরা মনে মনে জানি আমাদের সমাজ এখনও কতটাই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। ডায়মন্ড হারবার এর এক স্থানে আস্তাকুঁড় থেকে পাওয়া গেছে, একটি শিশু কন্যার মৃতদেহ। যার সত্যি খুবই নিন্দনীয়।
এখনো কন্যা সন্তান হলে দোষ দেওয়া হয় তার মাকে। বৈজ্ঞানিক দিক থেকে দেখতে গেলে সন্তান কন্যা হবেনা পুত্র হবে তার পুরোটাই নির্ভর করে ছেলেদের উপর। কিন্তু একথা সমাজ বোঝেনা।
নারী অর্থাৎ অর্ধেক আকাশের জীবন আজ বিপন্ন। কন্যা হয়ে জন্মানোটাই তার জন্য একটা পাপ। তাই শুরুতেই ভ্রুন নির্ধারণ করে চেষ্টা করা হয়, সেই কন্যাভ্রূণ হত্যা, সেটা যদি কোন ভাবে করা সম্ভব না হয় তাই জন্মের পর ফেলে দেওয়া হয় আস্তাকুড়ে, সেটাও যদি সম্ভব না হয় তো কন্যা বড় হতে থাকে নানান রকম কু কথা শুনতে শুনতে।
তবে সমাজে ভালো মানুষও রয়েছেন, যারা কন্যাদের আস্তাকুড়ের জঞ্জাল মনে করেন না। আজকালকার কন্যা মা দুর্গার মতন দশভুজা হয়ে সামলে যাচ্ছেন ঘরে এবং বাইরে। ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’।