আর্থিক সংকট কাটাতে মন্ত্রী-বিধায়কদের ৩০ শতাংশ বেতন কাটার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়। পরে ধীরে ধীরে সারা দেশেই নেমে আসে করোনার ভয়াবহ রূপ। যার জেরে সারা দেশে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয় সরকার। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত অর্থনৈতিক ক্রিয়াকর্ম। নানাবিধ সংকটের মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষা, চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরী ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের খরচ হয় সরকারের। একইসঙ্গে খাদ্যসংকট মোকাবিলায় বরাদ্দের অঙ্কটাও নেহাত কম নয়।
তাই এই ব্যাপক আর্থিক বোঝা কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। এর আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও তেলেঙ্গানা সরকার নিজেদের কর্মীদের বেতন হ্রাসের কথা ঘোষণা করেছে। এবার করোনা মহামারির ফলে সৃষ্ট আর্থিক সংকট কাটাতে একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল কেরালা সরকার। রাজ্যের সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের বেতন ও ভাতা কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
সরকারের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধি, সরকারের অধীনস্ত বিভিন্ন বোর্ডের সদস্য, স্থানীয় স্ব-শাসিত সংস্থার সদস্য সহ রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক-মন্ত্রীদের বেতন ও ভাতার ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেরালার তথ্য ও জনকল্যাণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী এক বছরের জন্য এই বেতন হ্রাস করা হবে। কোভিড ১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট কাটাতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে সরকার।