নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে পথে নামল বিজেপি। সোমবার ওয়েলিংটন থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত এক মহামিছিলের আয়োজন করে তারা। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয় অভিনন্দন যাত্রা। এই অভিনন্দন যাত্রায় বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা তো ছিলেনই। যোগ দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। মিছিলের মুখ ছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। মিছিল শেষে শ্যামবাজারে সভাও করেন তিনি।
এই মিছিলকে ঘিরে উপচে পড়া ভিড় নজরে আসে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনই। সকাল থেকেই কলকাতামুখী বিভিন্ন জেলার বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, দলীয় পতাকা, নরেন্দ্র মোদির ছবি, মুখে স্লোগান। মিছিল শুরু হয় দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ। তার বহু আগেই ওয়েলিংটনে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। ওয়েলিংটন থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন জেপি নাড্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুন : বড় ধাক্কা মমতার, CAA-NRC সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
পিছনে হাজার হাজার বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থক। শীতের কলকাতায় কার্যত গেরুয়া প্লাবন। মিছিলে তুলে ধরা হয় বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি। আদিবাসী নাচ, ছৌ নৃত্যের সঙ্গে দেখা যায় গেরুয়া বসনে একদল বাউলকে। হাতে দোতারা। মিছিলের আরও খানিক পিছনে ছিলেন কীর্তন শিল্পীরা। তাঁদের ঢাক, ঢোল, খোল, করতালের বোলে মুখর মহানগর।
সবথেকে বড় বিষয় হল, এত বড় মিছিল তবু কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলার খবর মেলেনি। এত মানুষ পথে নেমেছেন, হাতে রাজনৈতিক দলের ব্যানার, কিন্তু সবটাই শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ বলছেন, বিরোধীরা সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বার্তা দিচ্ছে। দেশকে অশান্ত করে তুলছে। কখনওই এই আইন জনবিরোধী নয়। এমন কোনও আইন নেই, যা একজন নাগরিকের কাছ থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। তাঁদের দাবি, আগে দেশ, পরে রাজনীতি। বিরোধীরা সে কথা ভুলে অকারণে সিএএ নিয়ে রাজনীতি করছে।