গোটা দেশের আপেলের চাহিদা মেটানোর জন্য সিংহভাগ আপেল উৎপাদিত হয় ভূস্বর্গ কাশ্মীরে। কিন্তু কৃষকরা বহুবারই তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের আপেল চাষিদের ন্যায্যমূল্য দিয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করলো ভারত সরকার।
গত মঙ্গলবার দিল্লীতে ষষ্ঠ বিশ্ব গ্রামীণ ও কৃষি অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য দান করার উদ্যোগী হন। এবং তিনি এদিন জাতীয় কৃষি পুনর্বিনিয়োগ সংস্থা NABARD এর চেয়ারম্যান এইচ এস ভানওয়ালাকে জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পাইয়ে দেওয়ার জন্য আবেদনও করেন। তিনি জানান যে, প্রশাসন কৃষকদের কাছ থেকে আপেল সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এবং তাদের উৎপাদিত শস্য যাতে দেশের সর্বত্র পৌঁছে যায় এই বিষয়ে সুনিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।
এছাড়া বিগত কয়েকমাসে দেশে পাম অয়েল আমদানির হার ক্রমশ বেড়েছে। এদিন অর্থমন্ত্রী জানান যে ভারতে ভোজ্য তেলের ব্যবহার খুব বেশি কিন্তু উৎপন্ন বীজ থেকে তেল প্রস্তুত করার পরিকাঠামোতে দুর্বলতা থাকার কারণে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ তেল আমদানির হার ক্রমবর্ধমান।এদিনের সম্মেলনে আপেল চাষে উদ্যোগের পাশাপাশি তৈলবীজ উৎপাদনে উৎসাহ দেখান অর্থমন্ত্রী।
দেশে আমদানির হার কমাতে তিনি কৃষকদের আরও বেশি পরিমাণে তৈলবীজ উৎপাদনের পরামর্শ দেন। এছাড়া এদিন তিনি জানান যে আগামী পাঁচ বছরে সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের উন্নয়নের জন্য ১০,০০০ টির মতো কৃষি সংগঠন গড়ে তুলবে।