নারীদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে ভারত সরকার তথা বিভিন্ন রাজ্যের সরকার একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে আসছে। প্রত্যেকটি পরিকল্পনার একটাই উদ্দেশ্য যে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে হবে। মেয়েরা ছেলেদের থেকে যাতে আর পিছিয়ে না থাকে তা সুনিশ্চিত করছে ভারত সরকার। পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রী প্রকল্প তো বিশ্বমাঝে সমাদৃত হয়। তবে মেয়েদের জন্য নতুন একটি স্কিম এল, যার নাম ‘লাডলি লক্ষী যোজনা’। এটি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয়। এই স্কিম মধ্যপ্রদেশ সরকারের।
মধ্যপ্রদেশ সরকার গত ২০০৭ সালে এই স্কিম চালু করেছিল যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার মেয়ে শিশুর ভবিষ্যৎ রক্ষা করে। চলতি বছরে এই পরিকল্পনার ১৫ বছর পরিপূর্ণ হল। তাই মধ্যপ্রদেশ সরকার এই প্রকল্পকে আরও জোরদার করতে ‘লাডলি লক্ষী যোজনা ২.০’ শুরু করতে চলেছে। মেয়েরা এই প্রকল্প থেকে কি সুবিধা পাবেন? জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
জানা গিয়েছে, ‘লাডলি লক্ষী যোজনা’ র অধীনে কন্যা সন্তানের জন্মের পর রাজ্য সরকার আপনাকে টানা ৫ বছর ধরে ৬ হাজার টাকা করে দেবে। এরপর ওই শিশু কন্যা যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পৌঁছাবে তখন সরকার ২ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে। এখানেই শেষ নয়। মেয়েটির বয়স ২১ বছর হলে বা বিয়ের সময় হলে সরকার মেয়েটিকে একেবারে ১ লাখ টাকা দেবে। তবে কারা এই সুবিধা পাবে?
আসলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে মেয়ে সন্তানের পিতা-মাতার আয় আয়করের আওতায় আসা চলবে না অর্থাৎ করদাতারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য নয়। এছাড়া এই প্রকল্প পেতে গেলে মেয়ে শিশুর পিতা-মাতার মধ্যপ্রদেশে একটি আবাসিক শংসাপত্র থাকতে হবে। এছাড়াও এক পরিবারের ২ সন্তানের বেশি কেউ এই সুবিধা পাবে না। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আধার কার্ড, কন্যা সন্তানের জন্ম সার্টিফিকেট, আবাসিক শংসাপত্র এবং রেশন কার্ড লাগবে।