‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ অর্থাৎ বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি করার প্ল্যানে বলিউডের তিন তাবড় অভিনেত্রী। শনিবার আরব সাগরের তীরে উঠেছিলো বড় বড় ঢেউ, কেউ কেউ ভেবেছিলেন এই ঢেউ অনেক ময়লা সাফ করে দেবে। কিন্তু সব কিছুর জন্য সময় দরকার। সেই সময়ই নিচ্ছেন এনসিবি-র আধিকারিকরা। ক্লিন চিট দেননি এনসিবি দিপিকা-সারা-শ্রদ্ধাকে। ইতিমধ্যেই দীপিকার ফোন ফরেন্সিকের জন্য নিয়ে নেওয়া হয়েছে এনসিবি কর্তৃক, এবারে তিন স্বনামধন্যা প্রতিষ্ঠিত নায়িকার ক্রেডিট কার্ড বাতিল বাজেয়াপ্ত করা হল।
তিনজনেই বলেছিলেন যে তাঁরা কখনো মাদক নেননি। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে যে তাঁরা মাদক চেয়ে পাঠিয়েছেন। মাদক যদি তাঁরা কখনো না নিয়ে থাকেন তবে কেন মাদক সংক্রান্ত কথোপকথনে নিজেদের নাম লেখালেন? কেন তাঁদের নাম মাদক-কান্ডে বারবার ঘুরেফিরে আসছে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে প্রত্যেকের কাছে।
সূত্রের খবর, দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা এবং রকুল প্রীতের আর্থিক সঞ্চয় এবং তাঁরা কোন খাতে কোন অর্থ ব্যবহার করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি দীপিকারা নিজেদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনও মাদক কারবারী বা পাচারকারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেছেন কি না, তারও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলবে।
এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে, তিনজন নায়িকাই বলেছিলেন আমি মাদক সেবন করি না। তাঁরা নিশ্চয় জানতেন এনসিবি যেকোনো মুহূর্তে সমন পাঠাতে পারে। সাধারণত নিষিদ্ধ মাদকের রেশ কিছুদিন রক্তের মধ্যে থাকে। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তবেই তাঁকে হাতেনাতে ধরা যেতে পারে। কিন্তু বলিউডের এই তিন নায়িকা যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং বুদ্ধিমতি।
অন্যদিকে অভিনেত্রী রকুল প্রীত সিং দাবি করেন, তিনি রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘ডুব’ নিয়ে যে আলোচনা করেন, তা শুধুমাত্র সিগারেটের বিষয়ে। তামাকজাত সিগারেট ছাড়া কোনও মাদক নিয়ে কখনও তিনি রিয়ার সঙ্গে কথা বলেননি।
উপরন্ত, সারা ও শ্রদ্ধা উভয়েই জানান যে সুশান্তই কেবল মাদক নিতেন। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সুশান্তকে তাঁর ভ্যানিটি ভ্যানের মধ্যে বসে তাঁরা বেশ কয়েকবার মাদক সেবন করতে দেখেছেন।