শ্রেয়া চ্যাটার্জি – লকডাউনে প্রত্যেকেই গৃহবন্দী। করোনা যে কবে আমাদের ছেড়ে যাবে তা কেউ জানে না ? অনবরত শুধু ভারত বর্ষ না দেশে-বিদেশে প্রত্যেক জায়গাতেই চেষ্টা চলছে কিভাবে এই মহামারী কে শেষ করে ফেলা যায়। সবকিছুর মধ্যেও মানুষ চাইছে আবার আগের মত একটু স্বাভাবিক হতে।
গৃহবন্দী দশা আর কারুর ভালো লাগছেনা। তাছাড়া করোনার প্রভাবে সমস্ত পর্যটনশিল্প কার্যত বন্ধ। এর ফলে সেই সমস্ত জায়গার অর্থনীতিকে সাংঘাতিকভাবে প্রভাব ফেলেছে এই করোনা। ওড়িশা সরকার পরিকল্পনা করছে ওড়িশার পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্র কে পর্যটকদের জন্য খুলে দেবেন। এই ৫ টি জায়গা হলো, চিল্কা হ্রদ, ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ, হিরাকুদ রিজার্ভার, মহানদী এবং সাতকোশিয়া।
৪৮৫ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বঙ্গোপসাগরের তীরে ওড়িশার বিশাল সমুদ্রতট। যা বছর বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটককে আকর্ষণ করে এখানে বেড়াতে আসার জন্য। এছাড়াও মহানদী, সুবর্ণরেখা, রুশিকুল্যা, ব্রাহ্মাণী প্রভৃতি নদীতে বদ্বীপ অঞ্চল রয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম ব্রাকিস জলের উৎস হল চিল্কা হ্রদ। এই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য ভীষণ পছন্দের একটি জায়গা। এমনিতেই করোনা ভাইরাস এর জন্য পর্যটন শিল্পের উপর সাংঘাতিক অর্থনৈতিক আঘাত এসেছে। উড়িষ্যা সরকার চাইছে তাদের ক্রুইজ পরিষেবাকে চালু করে অর্থনীতিকে যদি চাঙ্গা করা যায়। আপাতত এই পাঁচটি জলপথে ক্রুইজ পরিষেবা চালু হওয়ার কথা পরিকল্পনায় আসছে।