ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) আগামী কয়েক দশক ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে ক্ষমতাশীল পদে থাকবে, এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন রাজনীতিবিদ চাণর্ক্য প্রশান্ত কিশোর। এই সময়ে তিনি গোয়া সফরে রয়েছেন। ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির (আইপ্যাক) প্রধান এদিন বলেন, বিজেপিকে “অনেক দশক” ধরে লড়াইও করতে হবে। এই দিন তিনি আরো বলেন, ‘আগামী কয়েক দশকের জন্য বিজেপি কোথাও যাচ্ছে না।’ গোয়াতে ভোট প্রসঙ্গে এ কথা বললেন প্রশান্ত কিশোর।
পাশাপাশি এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি প্রকাশ্যে বললেন, ‘রাহুল সম্ভবত এই ভ্রমের মধ্যে রয়েছেন যে মোদীকে দূরে সরিয়ে দেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি যদি তাঁর (মোদীর) শক্তি পরীক্ষা না করেন, বোঝার চেষ্টা না করেন বা উপলব্ধি না করেন, তিনি কখনই তাকে হারাতে পারবেন না। এইদিন তিনি আরো বলেন, তিনি দেখতে পাচ্ছেন, বেশিরভাগ লোকই এটা নিয়ে ভাবছেন না যে কেন মোদী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই কারজ বোঝার জন্য আসলে কেউই যথেষ্ট সময় ব্যয় করছেন না কেউই। তাই।তাঁর শক্তিও বুঝতে পারছেন না কেউ। এই আসল বিষয়গুলি জানলে তবেই মোদীকে হারানো যাবে।
প্রশান্ত কিশোর এইদিন আরও বলেন, ‘তারা জিতুক বা হারুক, কংগ্রেসের প্রথম ৪০ বছরের কালের মতো বিজেপি ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। বিজেপি এই মুহূর্তে কোথাও যাচ্ছে না। একবার আপনি সর্বভারতীয় স্তরে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে গেলে আপনি শীঘ্রই যাচ্ছেন না। তাই এই ফাঁদে পা দেবেন না যে মানুষ রেগে যাচ্ছে এবং মোদীকে হারিয়ে দেবে। হয়তো তারা মোদীকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেও পারে, কিন্তু বিজেপি কোথাও যাচ্ছে না। আগামী কয়েক দশক ধরে আপনাকে লড়াই করতে হবে। সেখানেই সম্ভবত রাহুল গান্ধীর সমস্যা, তিনি মনে করেন যে মানুষ মোদীকে ফেলে দেবে, আর তা সময়ের ব্যাপার। সেটা এখনই হচ্ছে না।’
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, ‘কেউ গিয়ে যে কোনও কংগ্রেস নেতা বা কোনও আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করে কথা বলেন এবং তাঁরা বলেনন যে এটা সময়ের ব্যাপার; মানুষ বিরক্ত হচ্ছে। সেখানে একটি (অ্যান্টি) ইনকাম্বেন্সি থাকবে। লোকেরা তাঁকে ফেলে দেবে। এই কথা তিনি মনে করেন না। এটা হচ্ছে না। সকলকে তিনি ভেবে বলতে বলেন, নির্বাচনের জন্য তেলের ৫০ পয়সা দাম বৃদ্ধি আটকে রাখা হয়েছিল পাঁচ-ছয় মাসের জন্য। সেখানে আজ তড়তড়িয়ে বেড়েছে জ্বালানির দাম। তবে মোদীর বিরুদ্ধে কোনও অসন্তোষ নেই।’