সপ্তম পে কমিশনে ছিল ০.৭১! নতুন পে কমিশনে ‘ম্যাজিক ফিগার’ কত হতে পারে? জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
নতুন বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government Employees) জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বহু প্রতীক্ষিত অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনে অনুমোদন দিয়েছে মোদী সরকার। এর ফলে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সপ্তম পে কমিশনে ‘ম্যাজিক ফিগার’ বা ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭। এবার অষ্টম পে কমিশনে এটি কত হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
পূর্ববর্তী পে কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর:
– ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হওয়া ষষ্ঠ পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ১.৮৬। তখন কর্মীদের নূন্যতম বেতন ছিল ৭,০০০ টাকা।
– এরপর ২০১৬ সালে কার্যকর হওয়া সপ্তম পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধি পেয়ে ২.৫৭ হয়েছিল। এর ফলে নূন্যতম মাসিক বেতন এক লাফে ১৮,০০০ টাকা হয়ে যায়। এটি ১১,০০০ টাকা বৃদ্ধি পায়।
অষ্টম পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কত হতে পারে?
পূর্ববর্তী ট্রেন্ড অনুযায়ী, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সপ্তম পে কমিশনে যেখানে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ০.৭১ বেড়েছিল, সেখানে এবার তা আরও বাড়তে পারে। বিভিন্ন মহলের মতে, অষ্টম পে কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩.০০ থেকে ৩.৬৮ পর্যন্ত হতে পারে।
যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩.৬৮ নির্ধারিত হয়, তাহলে কর্মীদের নূন্যতম মাসিক বেতন দাঁড়াবে:
– ১৮,০০০ × ৩.৬৮ = ৬৬,২৪০ টাকা।
যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ৩.০০ হয়, তাহলে নূন্যতম বেতন হবে:
– ১৮,০০০ × ৩.০০ = ৫৪,০০০ টাকা।
বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা:
– ষষ্ঠ পে কমিশন থেকে সপ্তম পে কমিশনে বেতনের বৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য। এবারও অষ্টম পে কমিশনে নূন্যতম বেতন ৫০,০০০ টাকার গণ্ডি পেরোবে বলে আশা করা হচ্ছে।
– পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেসিক স্যালারির সঙ্গে অন্যান্য ভাতা যেমন ডিএ (Dearness Allowance) এবং এইচআরএ (House Rent Allowance) আরও বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
– বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সপ্তম পে কমিশনের অধীনে ৫৩% ডিএ পাচ্ছেন।
– ডিএ এবং ডিআর (Dearness Relief) বৃদ্ধির ফলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও উপকৃত হচ্ছেন।
অষ্টম পে কমিশন কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধি এবং ডিএ-র হারে পরিবর্তনের ফলে কর্মীদের আর্থিক সুবিধা বহুগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের হার ঘোষণা করেনি।
নতুন বেতন কাঠামো ও সুবিধাগুলির বিষয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে কর্মচারীরা নজর রাখছেন।