একেই করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। তার সঙ্গেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আসছে আমফান। তাতেও রক্ষে নেই, এর সঙ্গে আবার যোগ দিয়েছে জোয়ারও। বিপর্যয়ের এই ত্রিশঙ্কু চাপে দিশেহারা অবস্থা মানুষের। ঘূর্ণিঝড় আমফান এগিয়ে আসছে ক্রমশ। ইতিমধ্যে মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তা। সন্ধ্যের মধ্যে আছড়ে দীঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝামাঝি কোন অংশে। এই আশঙ্কার মধ্যেই আবার আবহাওয়া দপ্তরের একটি ঘোষণা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে মানুষের।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এক পূর্বাভাসে মারাত্মক আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আমফানের ভূমিভাগে আছড়ে পড়ার সময় একটু এদিক ওদিক হলেও ভয়াবহ পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে। আজ সন্ধ্যে ৭ টা থেকে সাড়ে ৭ টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ভূমিভাগে। অন্যদিকে, রাত পৌনে ৯ টা নাগাদ জোয়ারের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, জোয়ারের জলরাশির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের মেলবন্ধন ঘটলে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এর পাশাপাশি আগামী কাল অমাবস্যা থাকায় দীঘায় ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৪ টার পর থেকেই জোয়ার বাড়তে শুরু করবে। এই সময় সাগর এলাকায় জোয়ারের উচ্চতা ১.৬৯ মিটারের কাছাকাছি থাকবে। তবে রাত পৌনে ৯ টা নাগাদ জোয়ারের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি হবে। এই সময় ৪.৬ মিটার উচ্চতায় উঠবে জোয়ারের জল। ফলে জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় যদি একইসঙ্গে চলে আসে তাহলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বাংলাকে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।