বেশ কিছু দিন ধরে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ চলছে ভারতের। লাদাখ সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। পিছিয়ে নেই ভারতও। যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় সবদিক থেকে নিজেদের তৈরি রাখছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই উদ্দেশ্যে মূল্যবান কার্গো পণ্য নিয়ে চণ্ডীগড় এয়ারবেস থেকে লাদাখে পাঠানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টারকে। এই যুদ্ধবিমানের এক ট্রিপে খরচ পড়ছে ১০ লক্ষ টাকা৷ গত এক মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। উত্তর ভারতের সব সেনা ঘাঁটি ও বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে লাখাদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেনা, কামান, এয়ার সার্ভেইল্যান্স র্যাডার, যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে ৪৫ হাজার সেনা পৌঁছে গেছে লাদাখে৷ যার জেরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে৷
ইতিমধ্যে ডিবিও, ফুকচে ও নিয়োমার তিনটি অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডকে অ্যাক্টিভ করা হয়েছে৷ অভিমুখ চিনের দিকে ঘুরিয়ে রেখেছে দেশের সব বিমানঘাঁটি৷ আকাশে টহল দিচ্ছে নৌসেনার মাল্টিটাস্কার পি-৮আই। চিনা সেনার গতিবিধির উপর নজর রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত৷ লাদাখে চিন ও ভারতের মধ্যে থাকা ১ হাজার ৫৯৭ কিমির সীমান্তে থাকা ৬৫ টি পয়েন্টে সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে৷
গালওয়ান উপত্যকা, দেপসাং, প্যাংগং ও উত্তর সিকিমে নাকুলায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজ চলছে৷ প্রায় ২ মাস হতে চললো সীমান্তে মুখোমুখি ভারত ও চিন৷ একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র৷ দুই দেশের সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে উত্তেজনা।