একদিকে যখন বাংলায় মহিলা ভোটকে পাখির চোখ করে জিততে চাইছে রাজ্যের শাসক শিবির। জানতে চাইছে তারা, বোঝাতে চাইছে তারা গত ১০ বছরে কি করেছেন। এইবার সময় এসেছে তার ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার। আর ঠিক এমনই সময় শনিবার রাজ্যে মহিলাদের সবার আগে কোনটা দরকার, আর সেটাই মহিলারা পাননি আগের ১০ বছরে। এই নিয়ে ভোটের আগে ইয়োর্কার পড়ল রাজ্যের শাসক শিবিরে।
শনিবার দুই দিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। বাংলায় পা রেখেই রাজ্য প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সবর হলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন বাংলার নিরাপত্তার বিষয়ে। তিনি বলেন, নারী নিরাপত্তা যথাযথ নয় এই রাজ্যে। নারীপাচারের মতো ঘটনা সবসময়ই ঘটে চলেছে। কিন্তু সেই সব বন্ধ করতে কোনও কাজই করেনি প্রশাসন। বাংলায় নারী নির্যাতনের যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ করতে চান রেখা শর্মা।
বাংলায় ২৫০ টির বেশি মামলার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইতে তিনি আগে থেকে চিঠি লিখে রাজ্য পুলিশের ডিজি বিরেন্দ্রের সাথে দেখা করার কথা জানান। সেই মতো কথা ছিল কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং মুখ্যসচিবের সাথে কথা বলার। কিন্তু রেখা শর্মা হতে অভিযোগ আনা হয়েছে, শেষ মুহূর্তে এসে তারা হাজির থাকতে পারছেন না বলে জানানো হয়েছে ডিজিপির পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সবচেয়ে বড় বিষয় হল, বাংলা তথা এই দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তার রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট। তিনি ছাড়া বহু বিরোধী দলের নেত্রী তুলেছেন এই প্রশ্ন। এখন ভোটের কিনারায় এসে এখন মহিলা ভোট নিয়ে বাজিমাত করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সময়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের নিশানায় পরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দেখার বিষয় যে এই মাস্টার স্ট্রোক কতটা সমস্যা তৈরি করবে তৃণমূলের জন্য।