বিভিন্ন সময়ে বারবার রাজ্যের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার তোপ দেগেছেন বর্তমান প্রশাসনকে। মাঝখানে কালীপূজার আমন্ত্রণ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। মনে করা হয়েছিল এবার হয়তো সম্পর্কের শীতলতা কমবে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে। কিন্তু তেমনটি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। রাজভবনে দুর্গাপূজা কমিটির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে সুসম্পর্কের হাত বাড়িয়ে দিলেও রাজ্যের সমালোচনা থেকে ক্ষান্ত থাকেননি তিনি।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘ভাইফোঁটায় দিদির বাড়ি যাওয়ার খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কালীপূজা থেকেই ফিরে আসতে হলো।’ একই সাথে পরের বছর আমন্ত্রণ না পেলেও দিদির বাড়িতে উপস্থিত হবেন বলে জানান তিনি। এরপরই রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের তরফে আমাকে কখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
এদিন কাশ্মীর নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অশান্তির পরিবেশ বদলে গিয়ে নতুন কাশ্মীর গড়ে উঠবে।’ এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। কাশ্মীর নিয়ে অযথা রাজনীতি না করার পরামর্শও দেন তিনি।