আপামর বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে উমার আগমনের। দুর্গাপুজো মানেই চারিদিকে সাজো সাজো রব, নতুন জামাকাপড়, পায়ে হেঁটে প্যান্ডেল হোপিং, অনেক খাওয়া দাওয়া , আর বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা। এই সবের মধ্যে ব্যতিক্রম নন ব্যোমকেশ বক্সী ওরফে অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যেকবার দুর্গাপুজোয় কলকাতাতেই থাকেন, এই পুজোর সময়টা সব কাজ ভুলে নিজের পরিবার ছেড়ে কলকাতার বাইরে থাকা এক্কেবারে না পসন্দ আবীরের।
কখনো তিনি ‘ফেলুদা’ তো তিনিই কখনো ব্যোমকেশ। আবার তিনিই সকলের প্রিয় আবির প্রফেসর। আবার খলনায়কের ভূমিকাতেও দর্শক দেখেছে আবির চট্টোপাধ্যায়ায়কে। টলিউডের জনপ্রিয় সুদর্শন অভিনেতা বহু বঙ্গ তনয়ার বং ক্রাশ। আর পাঁচটা বাঙালির মতো তিনিও দুর্গা পুজোয় আনন্দ করতে চান। দেবীপক্ষের সূচনা ঘটেছে। প্রতিবছরই কলকাতায় দুর্গাপুজোয় পরিবারের সাথে থাকার চেষ্টা করেন আবির। শ্যুটিং ও করোনার কারণেই কিছুদিন অভিনয়ে থেকে বিরত ছিলেন। মূলত তাঁর স্ত্রী নন্দিনী ও মেয়ে ময়ূরাক্ষীকে নিয়েই এবারে অভিনেতার বেশি চিন্তা। তাই পুজোয় বাডির বাইরে বেরোনোর পরিকল্পনা একেবারেই নেই। যদিও এবারের পুজোতে কলকাতায় থাকছেননা। কারণ ছবি ও ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তিনি।
আবির এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের, গুরুজনদের এবং ছোটদের উপহার দিয়ে থাকেন প্রতি বছর। এই বছরও সব অনলাইনে কেনাকাটা করছেন। যেহেতু অনলাইনে সব হচ্ছে তাই পরিবারের প্রত্যেকের থেকে বাড়ির ঠিকানা নিয়ে উপহারগুলো তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা। তবে পুরোটাই তদারকি করছেন সঅভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী।
এই প্রথম সর্বভারতীয় ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে চলেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়। তাও নায়কের চরিত্রে। যা বাংলার কাছে বেশ গর্বের ব্যপার। সমীর নায়ারের সংস্থা অ্যাপ্লজ এন্টারটেইনমেন্ট যোজনায় তৈরি হচ্ছে এই নতুন ওয়েব সিরিজ। সিরিজে কে একজন সেনা আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। কাশ্মীরে টানা দু-মাস ধরে হবে গোটা ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং। আপাতত পুজোতে কাশ্মীরেই থাকবেন অভিনেতা।