কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছে আগেই। সহানুভূতি আদায়ের সেই প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দিয়ে সারা বিশ্ব ভারতের পক্ষে দাঁড়ালে মুখ পোড়ে পাকিস্তানের। এবার আবার অসমে এনআরসি নিয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছে পাক প্রশাসন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এদিন বলেন, ভারতকে মুসলমান মুক্ত করার চেষ্টা করছে মোদি। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া আসলে দেশ থেকে মুসলমানদের তাড়িয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ। একই রকম ভাবে অসমে এনআরসি-র মাধ্যমেও মুসলমানদের তাড়ানোর অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। যদিও এনআরসি নিয়ে এখনই কড়া পদক্ষেপ করছে না ভারত সরকার। এমনকি এনআরসি-তে নাম না থাকলেও তাকে এখনই বিদেশি তকমা দিতেও নারাজ কেন্দ্র।
তবে ইমরানের বক্তব্যকে তাঁর হতাশার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। আসলে ক্রমশ কোনঠাসা পাকিস্তান যেনতেন প্রকারেণ ভারতের বিরোধিতা করতে চাইছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। সংবিধান সংশোধন ও অসম এনআরসি-র মতো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মুখ খুলে নিজেকে হাস্যাস্পদ করে তুলেছে ইমরান খান।