নিউজরাজ্য

ডুবন্ত মানুষকে বাঁচানো প্রতিযোগীতায় পাঁচ-পাঁচটি পদক ঘরে আনল তিয়াসা

Advertisement

চুঁচুড়া : ইংলিশ চ্যানেলে পার হওয়ার ইচ্ছা আজও যায়নি। কিন্তু জলের রানী হলেও যে ডুবন্ত মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। সেকথা জানার পরই গতানুগতিক সাঁতার প্রশিক্ষন থেকে কিছুটা সময় বের করে “লাইফ সেভিং”-এর প্রশিক্ষন নিয়ে ফেলেছে চুঁচুড়া কনকশালির জাতীয় সাঁতারু তিয়াসা মন্ডল। আর শুধু প্রশিক্ষন নেওয়াই নয়, সম্প্রতি গুজরাট উপকুলের দিউতে সমাপ্ত হওয়া জাতীয় লাইফ সেভিং স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ-পাঁচটি পদক ঘরে নিয়ে এলো তিয়াসা।

রাস্ট্রীয় লাইফ সেভিং সোসাইটি আয়োজিত এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহন করতে গেলে লাইফ সেভিং-এর কোর্স করতে হয়। শ্রীরামপুর কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী তিয়াসা চিনসুরা সুইমিং ক্লাবে পুজা ঢেকির কাছে সেই কোর্স সমাপ্ত করে এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহন করার সুযোগ পায়। আর প্রথমবার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত তিয়াসার। গত ২১ থেকে ২৫নভেম্বর দিউতে অনুষ্ঠিত এই চ্যাম্পিয়নশিপ মোট তিনটি বিভাগে বিভক্ত ছিলো। একটি সুইমিং পুলে। অর্থাৎ ছোট জলাশয়ে কেউ পরে গেলে তাঁকে বাঁচাতে পারবে এধরনের লাইফ সেভাররা। ২য় বিভাগ হলো বিচ। অর্থাৎ সমুদ্রের পারে ডুবে যাওয়া মানুষকে বাঁচাতে পারবে এধরনের লাইফ সেভাররা। আর ৩য় টি হলো ওসান(Ocean)। অর্থাৎ গভীর সমুদ্রে কাজে লাগবে এধরনের লাইফ সেভারদের। এই তিনটি বিভাগ থেকেই তিয়াসা দুটি সোনা ও তিনটি রৌপ্য পদক সহ মোট পাঁচটি পদক এনে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছে।

এদিন চুঁচুড়ার কনকশালীতে নিজের একচিলতে বাড়িতে বসে তিয়াসা জানান সাধারন সুইমিং কিংবা ইংলিশ চ্যানেলে যাওয়ার ইচ্ছা আমার আজও আছে। তবে যেদিন থেকে জানতে পারলাম সাধারন সাঁতারে আমি পারদর্শী হলেও লাইফ সেভিং ট্রেনিং ছাড়া ডুবে যাওয়া মানুষকে আমি বাঁচাতে সক্ষম হবো না। সেদিন থেকেই লাইফ সেভিং ট্রেনিং-এর প্রতি আমার আগ্রহ জন্মেছিলো।

Related Articles

Back to top button