বাংলা বিজেপি রাজ্য সভাপতি আজ সাতসকালে বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত আছে। আজকের ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অবশ্য সেখানেই তিনি আজকের নবান্নে বিমল ও বিনয় বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন , যাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা তারাই আজকের তৃণমূলের নেতা। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রদোহিতার হাত ধরে পাহাড়ে উঠতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিলীপ ঘোষ আজকের নবান্নে বিমল ও বিনয় বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে শাসকদলের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেছেন। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহীদের হাত ধরে মমতা পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তিনি কোনদিনই সফল হবেন না। বিজেপি থাকতে পাহাড়ে আর তৃণমূলের ঝান্ডা উড়বে না। অন্যদিকে তিনি বিদ্রূপের সুরে বলেছেন, মমতা যে রাষ্ট্রদ্রোহীদের সাথে হাত মেলাচ্ছে তা সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ আর বেশি দিন এই অরাজকতা সহ্য করবে না বলেই দাবি করেছেন দিলীপবাবু।
তারপর সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপবাবু রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের এক মাসের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়া সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন রাজ্যপাল পাহাড়ে গেলে পাহাড়ের মানুষ অনেকটা উৎসাহ পাবে। একজন রাজ্যপাল হিসেবে তিনি তার কর্তব্য খুব ভালোভাবে পালন করছেন। এছাড়াও যারা রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার সমালোচনা করেছে তাদের পাহাড়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। সবশেষে তাকে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দিয়েছেন, “দরজা খোলা আছে যেদিন খুশি আসতে পারেন”।