একুশে নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। এরইমধ্যে গেরুয়া শিবির নির্বাচনের আগে বঙ্গবাসীর কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি প্রকাশ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রায়ই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বাংলার জেলায় জেলায় জনসভা করে যাচ্ছে। আজ হাওড়া ডুমুরজলায় সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি আজকের জনসভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে জনসভা বিফলে যায়নি।
গতকালে তৃণমূল থেকে বিজেপি থেকে যোগদান করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল প্রমুখরা। তারাই আজ হাওড়ার জনসভায় গিয়ে মেগা শো করলেন। তাদের মধ্যে ছিল প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এছাড়াও সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়ালি সভায় যোগদান করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবশ্য ভোটযুদ্ধের খেলায় পিছিয়ে নেই শাসকদল। বিজেপির জনসভা হাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা সভার ঘোষণা করল। তারা জানিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস হাওড়া ডুমুরজলায় জনসভা করবেন।
আজ রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অরূপ রায় বলেছেন, “আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার ডুমুরজলাতে পাল্টা সভা করবেন তৃণমূল। এই জনসভা থেকে বিজেপিকে তাদের প্রাপ্য উত্তর দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত গতকাল অমিত শাহের বাংলা সফর বাতিল হয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ঠাকুরনগরে আসতে পারিনি। তবে মতুয়াদের সাথে এখন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাবে কথা না বললে তারা বেঁকে বসতে পারে। তাই অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, “তিনি খুব শীঘ্রই ঠাকুরনগর জনসভা করতে আসছেন।”