আজ গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একুশে বিধানসভা নির্বাচন জোর কদমে চলছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই চার দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই চার দফা নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি এবং তৃণমূল বিজেপির দ্বন্দ্ব নিয়ে সরগরম গোটা বঙ্গ রাজনীতি। তারমধ্যে জোড়াফুল শিবিরের সাথে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে নির্বাচন কমিশনের। এক কথায় বলতে গেলে মমতা বনাম বিজেপি একদিকে যেমন প্রকট হচ্ছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করছে। তবে এরই মধ্যে আজ নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ দিয়েছে যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৪ ঘন্টা কোন নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না। এবার কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইটে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারির কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মঙ্গলবার তিনি গান্ধী মূর্তির নিচে ধর্নায় বসবেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “নির্বাচন কমিশনের ও গণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি আগামীকাল বেলা ১২ টা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবো।” আসলে নির্বাচন কমিশন আজ জানিয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩ এপ্রিল জনসভায় করা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শোকজ নোটিশ করা হয়েছিল। কিন্তু তার উত্তরে সন্তোষজনক কিছু বলেননি তিনি। এমনকি আংশিক উত্তর দিয়ে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আবার পরে অন্য একটি জনসভাতে গিয়ে মমতা বলেছেন আমাকে ১০ বার শোকজ করা হলেও আমি এক উত্তর দেব।” তাই তাকে আজ সোমবার রাত আটটা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত আটটা অবধি নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “একুশে বিধানসভার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন স্বৈরাচারী ও হিটলারি কায়দায় ভোট করাতে চাইছে। বুলেটের ডগায় রেখে ভোট করানো হচ্ছে। মমতা সেই কাজের প্রতিবাদ করলে তাকে থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে।” এছাড়াও ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “আজকের দিনটি গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন।”