আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর গতকালই জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরের বুকে আবার নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে। সেইমতো সকালের দিকে রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ থাকলেও বেলা গড়াতে ক্রমশ আকাশের মুখ ভার হয়ে গেছে। কাল রাত থেকেই বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ও গুমোট অস্বস্তিকর পরিবেশ ছিল। তারপর আজ দুপুরে হতেই দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় আকাশে ঘন কালো মেঘের আগমন ঘটেছে। এরইমধ্যে হুগলি জেলার বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল, আজ থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হবে। বঙ্গোপসাগরের বুকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দখিনা বাতাস ভূখণ্ডে আনাগোনা করার সম্ভাবনা প্রবল আছে। সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে ও রাতের দিকে পারদ অনেকটাই নামবে। শহর কলকাতা তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রি থেকে ২১ ডিগ্রি। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের গড় তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি। নিম্নচাপের কারণে হাওয়ার প্রবাহ কম থাকলেও বাতাসে হিমেল স্পর্শ অনুভব করা যাবে।
আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৭৭ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ। নিম্নচাপ ও গুমোট হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আজকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কাল রাত থেকেই পরিবেশ গুমোট হয়ে আছে। এরমধ্যে আজকে যদি একটু বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় তাহলে তাপমাত্রার কিছুটা হেরফের হবেই। বৃষ্টির প্রভাবে জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও পারদ অনেকটাই নামবে বলে আশা করছে আবহাওয়া দপ্তর।
সাধারনত প্রতি বছর ১২ অক্টোবরের মধ্যেই কলকাতা থেকে বিদায় নেয় বর্ষা। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি থামবে নির্ধারিত সময়ে অনেকটা পরেই। ফলে অন্যান্য বছর অক্টোবর এর মাঝেই যেমন উত্তর শুষ্ক ঠান্ডা হাওয়া তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেয়, এবছর তেমন কিছু হবে না। দশমীর পর থেকে রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও এটা স্থায়ী শীতকাল নয়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর সপ্তাহের শেষে আবার পারদ চরতে পারে।