ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Train ticket: প্রবীণ নাগরিকরা কি আরও সস্তা দামে ট্রেনের টিকিট পেতে পারেন? বাজেটে আসবে বড় ঘোষণা

আপনি যদি ট্রেন টিকিট নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে এটা আপনার জন্য ভালো সুযোগ

Advertisement

২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট পেশ করতে চলেছেন। এই বাজেট ঘিরে প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষ প্রত্যাশা রয়েছে, বিশেষ করে ট্রেনের টিকিটে ছাড় পুনরায় চালু করার বিষয়ে। কোভিড-১৯ মহামারীর আগে ভারতীয় রেলওয়ে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ছাড়ের সুবিধা দিত। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য ৪০ শতাংশ এবং ৫৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হতো। মেল, এক্সপ্রেস, রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্তের মতো ট্রেনগুলিতে এই ছাড় প্রযোজ্য ছিল।

কিন্তু মহামারী শুরুর পর, এই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসময় রেল পরিষেবায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, যা পরিস্থিতির কারণে অনিবার্য ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও, এই ছাড়ের সুবিধা আর চালু করা হয়নি। প্রবীণ নাগরিকরা বলছেন, অবসরের পর তাদের আয়ের বিকল্প সীমিত হয়ে যায়। ফলে রেলওয়ের টিকিটে ছাড় তাদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে স্বস্তির বিষয় ছিল এবং তা তাদের ভ্রমণকে সহজ করে তুলেছিল।

২০২০ সালে এই সুবিধা বন্ধ হওয়ার পর থেকে প্রবীণ নাগরিকরা বারবার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন এই ছাড়টি পুনরায় চালু করা হয়। রেলওয়ে ছাড় কেবল আর্থিক স্বস্তিই দেয় না, বরং দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতের সুযোগও সহজতর করে। এই সুবিধাটি প্রবীণদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছিল, কারণ তারা কম খরচে চিকিৎসা, পারিবারিক প্রয়োজন কিংবা ধর্মীয় স্থানে যেতে পারতেন।

মোদি সরকারের প্রথম দুই মেয়াদে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই তাদের প্রত্যাশা, তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেটে সরকার তাদের দীর্ঘদিনের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এই সুবিধা আবার চালু করবে। প্রবীণরা মনে করছেন, সরকারের নীতিতে যদি তাদের দাবি প্রতিফলিত হয়, তবে লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবেন।

প্রবীণ নাগরিকদের মতে, মহামারীর সময়কার অর্থনৈতিক চাপে রেলের এই ছাড় বন্ধ করা হলেও, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল। তাই এই সুবিধা পুনরায় চালু করা এখন সময়ের দাবি। তারা আশা করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রয়োজন ও প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।

বাজেট ঘোষণার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, প্রবীণ নাগরিকদের আশাবাদ ততই বাড়ছে। তারা মনে করছেন, নতুন বাজেটে সরকার তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে এবং রাজধানী, শতাব্দী, এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা পুনরায় চালু হবে। এই দাবির বাস্তবায়ন হলে লক্ষাধিক প্রবীণ নাগরিকের যাতায়াত আরও সহজ, সাশ্রয়ী এবং নিশ্চিন্ত হবে। এখন সবকিছুর দৃষ্টি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর বাজেটের দিকে।

Related Articles

Back to top button