সন্ধ্যে হলেই সব কাজ ছেড়ে টিভি মুখো হয়ে পড়েন বাঙালি সিরিয়াল প্রেমী মা কাকিমারা। সন্ধ্যে ৬ টা বাজলেই শুরু হয়ে যায় পর পর ধারাবাহিক দেখা। এই ধারাবাহিকের চরিত্রগুলো তাঁদের কাছে সেই সময় যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। তাদের সংসারের সুখ দুঃখ মান অভিমান নিজেদের ড্রয়িংরুমের অংশ হয়ে যায়। অভিনেতা অভিনেত্রীর আনন্দের মুহূর্তে আনন্দ পায় ঠিক একইভাবে দুঃখের সময়ে দুঃখ পায়।
আর বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে এই মুহূর্তে সবথেকে পছন্দের ধারাবাহিক হল স্টার জলসার খড়কুটো। শ্রীময়ী শেষ হতেই চোখ চলে মুখোপাধ্যায় পরিবারের অন্দরে। যৌথ পরিবারের ভালোবাসা আর সৌজন্য ও গুনগুনের রসায়ন, সব নিয়ে মজে ওঠে দর্শকরা। বিশেষ করে খড়কুটোর মুখ্য চরিত্র গুনগুন ওরফে তৃনা সাহার মজার কীর্তি কলাপ আর পাগলামি যেমন পছন্দ করেন তেমনি এই মেয়ের সরলতা সকলের মন ছুঁয়ে যায়। তাই তো এতদিন ধরে মানুষের মন জয় করে সেরা মেয়ে আর বৌমার তকমা পেয়েছে গুনগুন ওরফে তৃণা সাহা।
অনস্ক্রিন তিনি যতটা উচ্ছল প্রানবন্ত অফস্ক্রিনও ঠিক সেরম। মজা আনন্দে হেসে খেলে কাটিয়ে দিতে ভালোবাসেন তিনি। আর সেই প্রমান পাওয়া যায় তাঁর ইন্সটাগ্রামে। হামেশাই নানান মজার রিল ভিডিও ছবি পোস্ট করেন তিনি। কিছুদিন আগেই নীল ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়েছিলেন তারপর থেকে এতদিন এই যুগলের নানান মজার ছবি আর ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। শুধু রিয়েল নয় রিলে যাদের সাথে সংসার করছেন গুনগুন সেই মুহূর্ত উঠে আসে তৃণার এই পোস্টে।
মুখোপাধ্যায় পরিবারে বেশ কদিন ধরে সাঁঝির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। গুনগুনের পটকা, বড় বৌদির মতো সাঁঝিও খুব প্রিয়। সাঁঝিই তো প্রথম গুনগুনের বন্ধু হয়৷ বেশ কয়েকদিন ধরে সেটে সাঁঝি না থাকায় মন খারাপ ছিল গুনগুন ওরফে তৃণার। বাস্তবেও সোনাল আর তৃণা খুব ভালো বন্ধু। তৃণার বিয়ের আগে ব্যাচেলার পার্টিতে অন্যান বন্ধুদের সাথে সোনাল ও ছিল। এত দিন পর সেটে বন্ধুকে পেয়ে রিল ভিডিও বানালেন অভিনেত্রী৷ আর সেই রিল ভিডিও শেয়ার করলেন তৃণা নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে। বিনোদ রাঠোর ও সোহম এর গাওয়া গান ‘দাদা চলতে তো মাস’-এর সঙ্গে ঠুমকা লাগালেন দুই সই। দুজনেক কুর্তি পড়েছিলেন তবে সোনালের গলায় ছিল গামছা আর তৃণা চোখে পরেছিলেন সানগ্লাস। একদম পাড়ার দাদার স্টাইলে তৃণা আর সোনালের নাচ। শেয়ার হতেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।