Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

৭ আসনে উপনির্বাচন তাড়াতাড়ি করতে হবে, দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল, কি জানালো নির্বাচন কমিশন?

Updated :  Saturday, August 7, 2021 12:44 PM

যেখানে পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে সেখানে কেন নির্বাচন গ্রহণ করছে না নির্বাচন কমিশন? সেই নিয়ে এবারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে দেখা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে। তবে এবারে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে গিয়ে কথা বললেন রাজ্য তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা। এদের মধ্যে আসেন শশী পাঁজা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

তাদের মূলত দাবি ছিল, যেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে একেবারে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানে কেন নির্বাচন গ্রহণ করা হচ্ছে না সাতটি কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই নদীয়া শান্তিপুর এবং কোচবিহার দিনহাটা কেন্দ্রের বিজয়ী বিজেপি বিধায়ক যথাক্রমে জগন্নাথ সরকার এবং নিশিথ প্রামানিক পদত্যাগ করেছেন। এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন ভবানীপুর কেন্দ্রের জয়ী বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তার পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণের গোসাবার তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ এই ৫টি কেন্দ্রে প্রয়োজন হবে উপনির্বাচনের। তার পাশাপাশি, নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় এখনো পর্যন্ত নির্বাচন বাকি রয়েছে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের।

তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে একেবারে কমে গেছে। এখন মোটামুটি প্রত্যেকদিন করোনা হচ্ছে মাত্র ৫০০ এর কাছাকাছি। কিন্তু যারা গণতন্ত্রের ধারক এবং বাহক অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন তারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের হাতে আর মাত্র বাকি রয়েছে তিন মাস সময়। আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে যেকোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতেই হবে। না হলে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এই অবস্থায়, বিজেপি পুরোদমে চাইছে নভেম্বর মাসের আগে যেন নির্বাচন না হয়। বরং তারা আবার পুরসভা নির্বাচন আগে করার পক্ষপাতি।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “এই যে বর্তমানে বৃষ্টি হলো, ঘাটাল কলকাতা সবকিছু জলে ডুবে গেল তাতে কেউ কারো কাছে গিয়ে কিছু বলতে পারলো না। কারোর কোনো দায়িত্ব নেই। যদি এখানে কোন কাউন্সিলর থাকতো তাহলে তার কাছে গিয়ে মানুষ কথা বলতে পারতো। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য নিজের পার্টি মেম্বারদের লাগিয়ে দিয়েছেন কাজে।” যদিও তৃণমূলের তরফে এখনো পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের কোন পাল্টা মন্তব্য শুনতে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ১১২টি পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত আসনে নির্বাচন মোটামুটি এক বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। তাই এখন এটাই দেখার, কোন নির্বাচন আগে করা হয়, পুরসভা নাকি বিধানসভা উপনির্বাচন।