গুনগুনের অতিরিক্ত ন্যাকামি কমিয়ে দিচ্ছে ‘খড়কুটো’-র টিআরপি, ক্ষুব্ধ দর্শকরা
স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো’ একসময় একনাগাড়ে টিআরপি রেটিংয়ে নিজের প্রথম স্থান ধরে রেখেছিল। সৌজন্য ও গুনগুনের দুষ্টু-মিষ্টি রসায়ন দর্শকদের মনোরঞ্জন করছিল। যদিও গল্পের গরু গাছে অনেক আগেই উঠে পড়েছিল, কিন্তু দর্শকরা তা মেনে নিয়েই দিব্যি ‘খড়কুটো’ দেখছিলেন। তাই গরুও আর গাছ থেকে নামেনি। পুটুপিসির বিয়ে ‘খড়কুটো’-র টিআরপি বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ক্রমশ ‘খড়কুটো’-র টিআরপি নামতে শুরু করেছে।
এর জন্য নেটিজেনরা দায়ী করছেন গুনগুনের চরিত্রাভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina saha)-কে। তৃণার অভিনয় তাঁদের কাছে ন্যাকামির চূড়ান্ত লেগেছে। পয়লা বৈশাখের দিন ‘খড়কুটো’-য় দেখানো হয়েছিল মুখার্জি পরিবারে আগমন হতে চলেছে নতুন অতিথির। পরিবারকে সেই সুখবর দিয়েছে আরও এক জুটি ঋজু ও মিষ্টি। পয়লা বৈশাখের দিন মিষ্টির শরীর খারাপ হয়। সারাদিন ধরে সে বমি করতে থাকে। বাড়ির বড়রা মিষ্টির মা হতে যাওয়ার অনুমান করলেও গুনগুন কিছুই বুঝতে পারে না। অনেক চেষ্টার পর সৌজন্য গুনগুনকে পুরো ব্যাপার বোঝাতে সক্ষম হয়।
চিত্রনাট্যের এই অংশটি মেনে নিতে পারছেন না দর্শকরা। তাঁদের মতে, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করা গুনগুন একজন ডাক্তারের মেয়ে এবং সে নিজে যথেষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক। তাহলে তাকে কেন বাচ্চা হওয়ার ব্যাপার বোঝাতে হচ্ছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশ বলেন, চিত্রনাট্যকার মনে হয় দর্শকদের বোকা ভাবেন! তবে তৃণার কিছু অনুরাগী আবার সমর্থন করতে শুরু করেছেন তৃণাকে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া ‘খড়কুটো লাভার্স’ ও ‘খড়কুটো হেটার্স’-এ বিভক্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে মাথায় হাত পড়েছে প্রযোজনা সংস্থার। কারণ নামতে শুরু করেছে ‘খড়কুটো’-র টিআরপি।