আন্তর্জাতিক মহলে মমতা সরকারের মুকুটে নতুন পালক! করোনাকালে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করল UNICEF ও বিশ্ব ব্যাংক
রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় ইউনিসেফ (UNICEF) ও ইউএনডিপি (UNDP) ও বিশ্ব ব্যাংক
ফের বিশ্ব দরবারে প্রশংসার পাত্র হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। আন্তর্জাতিক মহলে আজ কোভিড মহামারী ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তারা প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়। রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় ইউনিসেফ (UNICEF) ও ইউএনডিপি (UNDP)। এছাড়াও বিশ্ব ব্যাংক মমতা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে প্রশংসা করতে বাকি রাখেনি। আসলে আজ রাজ্য সরকার দুটি প্রকল্প অর্থাৎ দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় পাড়ায় সমাধান নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজকের নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকারের ও পাড়ায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই তিনি দুয়ারে সরকারও পাড়ায় সমাধান নামক দুটি বই প্রকাশ করেন। সেই সাথে তিনি বলেন, “সবাইকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবুজ সাথী সাইকেল পাচ্ছে এক কোটির বেশি মানুষ।” এছাড়াও তিনি বলেন, “এবার রাজ্য সরকার সমস্ত পুরকর্মীদের বিনামূল্যে করোনার টিকা দেবে। ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত পৌরসভাকে চিঠি পাঠানো হয়ে গেছে।”
আজকের মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেছিলেন বিশ্বব্যাংকের তরফে জুনায়েদ আহমেদ ও ইউনিসেফের ২ প্রতিনিধি। বিশ্বব্যাংকের তরফে যোগ দেয়া জুনাইদ কামাল আহমেদ বলেছেন, করোনার মাজু রাজ্য সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছে প্রায় রাজ্যের ৯৫ শতাংশ মানুষ। এবারে রাজ্য সরকার একেবারে সাধারণ মানুষদের স্তরে গিয়ে অর্থ তৃণমূল স্তরে গিয়ে কাজ করেছে এবং তার জন্যই এত বড় সাফল্য পেয়েছে।
অন্যদিকে ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের বেশ প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার শিশুকন্যাদের জন্য কন্যাশ্রী এবং বড় মেয়েদের জন্য রূপসী প্রকল্প এনেছে যার জন্য উপকৃত হয়েছে বহু মানুষ। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। সেই সাথে তিনি পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকারের নজরদারি করা উচিত যাতে তাদের প্রকল্প সকলের কাছে পৌঁছে যায় এবং তাদের কাজের মধ্যে কোন না ত্রুটি থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃতি পেয়েছিল কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য। রাষ্ট্রসংঘ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য পুরস্কৃত করেছিল। এবার আবারো আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজ।