পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সিনেমার মাধ্যমে রাহুল ব্যনার্জির টলিউডে পা রাখেন। প্রথম ছবিতে বাজিমাত করেন রাহুল। এরপর অভিনেতাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাহুলে দুধর্ষ অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি। তারপর থেকে বেশ কিছু ছবিতেই অভিনয় করেছেন রাহুল। তবে বেশিরভাগ অভিনেতাকে আর্ট ফিল্মে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে নায়কের ভূমিকায় বেশি দেখা যায়নি অভিনেতাকে।
বড়পর্দায় কাজ করতে করতে হঠাৎই একদিন ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন রাহুল। ‘তুমি আসবে বলে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেও তুমুল খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। এরপর সান বাংলায় ‘আয় খুকু আয়’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। তবে এর মাঝে দীর্ঘদিনের বিরতি নিয়ে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিক দফের ছোটপর্দায় ফিরেছেন রাহুল। তবে এবারে নায়কের ভূমিকায় না পাশ্ববর্তী চরিত্রে ফিরেছেন তিনি। চরিত্রের নাম রাজা। তবে এর মধ্যে রাহুল নিজের অভিনয় দিয়ে এই চরিত্রে বাজিমাত করেছেন।
নিজের এই চরিত্র হিট হওয়ার পিছনে নেপথ্যে আছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও সহ অভিনেত্রী রুক্মা রায়কে। এই দুজনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন রাহুল। রাজা মাম্পির জনপ্রিয়তা পেয়েছে লেখিকার সংলাপের জন্য। আর তাঁর সহ অভিনেত্রী রুক্মার অনবদ্য অভিনয়ের জন্যই তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন এত সুন্দর হয়েছে। কিন্তু এখানেই সমস্যা তৈরী হয়েছে। অনেক দর্শক ভাবছেন রাহুলের সাথে রুক্মার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু হেসেই অভিনেতা উত্তর দিয়েছেন রুক্মা ১০ বছরের ছোট। আর রাহুল স্পষ্ট ভাষায় বলেন রুক্মাকে স্নেহ করেন।
তবে এসবের মাঝে একটা সাক্ষাৎকারে রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, রাহুল ডেবিউ ছবিতেই নায়ক হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরবর্তীতে তিনি হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়েছেন কেন? অবশ্য অভিনেতা জানিয়েছেন দোষটা ছিল তাঁরই। বাবা চলে যাওয়ার পর তিনি গাঁজার নেশায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। বাবাকে হারিয়ে খারাপ পথে পা দিয়েছিলেন। আর তাতেই মূল্যবান সময় নষ্ট করেছিলেন। পাশাপাশি আরো একটি কথা রাখেন, সফল হলে চুমকি বসানো জামা পরা লোকজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করতে হয়। সেটা তিনি পারতেন না। তবে এখন দেশের মাটিতে রাজা চরিত্র দিয়ে কামব্যাক করে দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত রাহুল। মূল নায়ক না হয়েও রাজার জনপ্রিয়তা অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে তা আজ বলাবাহুল্য।