শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ইচ্ছা থাকলেই যে উপায়ে করা যায় তার প্রমাণ বোধহয় এই যুবক দিয়ে দিয়েছে। যারা বলেন চাকরি পাওয়া অত সহজ নয়, তার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়, তাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভাগ্যের সঙ্গে পরিশ্রম করলে নিজের লক্ষ্যে একদিন জীবন চলা যায়। সারাদিন পকোড়া ভাজার পরে প্রথমবারেই পরীক্ষা দিয়ে গেট পরীক্ষায় উতরে গেলেন উত্তরাখণ্ডের এক যুবক।
যুবকটির নাম সাগর সাহ। উত্তরাখণ্ডের, চামোলি জেলার পিপালকোটি গ্রামের বাসিন্দা। সরকারি বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন সাগর। তারপরে দেরাদুন থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি ডিপ্লোমা করেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তার। তার একটি ছোট্ট তেলেভাজার দোকান রয়েছে। যার নাম ‘সাহ’স পকোড়া শপ’। দোকানটি পিপালকোটির মূল বাজারেই অবস্থিত। তার এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন তার পরিবারের মানুষ ললিতা সাহ, মোহিত সাহ, এবং তার মা, ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা যে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তাই যুবকটিকে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সারাদিন নিজের দোকান সামলে পড়াশোনা করে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে স্বপ্ন পূরণ করে ফেলেছেন। সত্যি তার এই কঠোর পরিশ্রমকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। তার মতন এমন মানুষ অনেক নতুন প্রজন্মের আদর্শ হতে পারেন। কিভাবে বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে শুধুমাত্র মনের জোর আর কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা যুদ্ধে জয়লাভ করা যায়, তার একমাত্র প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন এই যুবকটি।