ভোটার আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে নয়া সতর্কতা, এই ভুল করলে বিপদে পড়বেন – VOTER ID CARD
ভারতের নির্বাচন কমিশন দ্বারা ভারতের প্রতিটি নাগরিকের অন্যতম প্রধান পরিচয়পত্র হিসাবে ভোটার আইডি কার্ড আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে। ১৮ বছর কিংবা তার ঊর্ধ্ব যেকোনো নাগরিকের ভোটার আইডি কার্ড থাকা আবশ্যিক। তবে এমন অনেক নাগরিক রয়েছেন যাদের এলাকা ভেদে এক বা একাধিক ভোটার আইডি কার্ড বর্তমান। সেক্ষেত্রে বড় জরিমানা গুনতে হতে পারে সেই ব্যক্তিকে। পাশাপাশি হতে পারে কারাবাসও।
ভারতের একজন নাগরিকের একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকা আইনত একেবারেই অপরাধের। খুব সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতাকে দুটি আলাদা এলাকার ভোটার আইডি কার্ড রাখার অপরাধে জরিমানা দিতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে তিস হাজারী আদালত থেকে সমন জারি করে দেওয়া হয়েছে। যদি কারোর দুটি ভোটার আইডি কার্ড থাকে তবে ঠিক কি হতে পারে! বিস্তারিত জেনে নিন।
সংবিধানের ১৭ ধারা অনুযায়ী, ভারতের কোন নাগরিকের একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকা আইনত অপরাধ। তবে অনেকক্ষেত্রে স্থানের পরিবর্তনের কারণে অনেকের দুটি পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে উদ্যোগী হয়ে নিজের পুরানো ভোটার আইডি কার্ড অবিলম্বে বাতিল করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নতুবা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
যারা দুটি ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তারা নিজেরা নিশ্চিতভাবে জানেন তারা দুটি ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করেন। তবে এই কথা যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছায় তাহলে, ঐ নির্দিষ্ট নাগরিকের জরিমানা হওয়ার পাশাপাশি ১ বছরের হাজতবাসও হতে পারে।
তবে এই পরিস্থিতিতে দুটি ভোটার আইডি কার্ডের গ্রাহকদের মধ্যে যারা আইনের পথে ভারতীয় নাগরিক হিসাবেই থাকতে চান তাদের প্রথমেই ভারতের নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। পরে সেই অফিসে গিয়ে ৭ নম্বর ফর্ম নিয়ে তা ফিলাপ করেই জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, এই ফর্মটি এসডিএম ও বিএলও-র অফিসেই জমা দিয়ে আসতে হবে। আর এর পরেই ঐ নির্দিষ্ট নাগরিকের বর্তমান বাসস্থান ও তথ্য অনুযায়ী দুটির বদলে একটি ভোটার আইডি কার্ড সচল করা হবে।