নভেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকেই ভোর ও রাতে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে গোটা বাংলাজুড়ে। তবে বেলা গড়ালে মধ্যগগনে সূর্যের গনগনে তাপে সেই শীতের আমেজ কোথাও উধাও হয়ে যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এখনও অব্দি জাঁকিয়ে শীত পড়ার কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। তবে ভোরের দিকের ঠান্ডা এটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে খুব শীঘ্রই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। তবে কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর যে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ থাকবে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকবে। সর্বাধিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পরিমাণ ৫০ শতাংশ হতে পারে। গতকাল বুধবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক ছিল।
ধীরে ধীরে বাংলায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন যে শীত আসতে এখন অনেকটাই দেরি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তিন থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ নামবে এক ধাক্কায়। সামগ্রিকভাবে জাঁকিয়ে শীত এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।